আজকাল ওয়েব ডেস্ক: বাঙালির প্রথম পাতে ডাল ছাড়া চলে না। মুসুর ডাল হলে তো আর কথাই নেই। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক, উভয়েই রোজের পাতে মুসুর ডাল রাখার কথা বলে থাকেন। এই ডালের উপকারিতা বহু। ওজন ঝরানো থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো, মুসুর ডালের ভূমিকা অনবদ্য।
এক কাপ মুসুর ডালে ক্যালোরি রয়েছে ১৮০, প্রোটিন রয়েছে ১০ গ্রাম। ফাইবারের পরিমাণ ৬ গ্রাম। মূলত মুসুর ডালে ফাইবারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ফলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে এই ডাল। এছাড়া, মুসুর ডাল হজম হতেও বেশি সময় নেয় না। আর হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এক বাটি মসুর ডাল। তাতে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়বে। ফলত হঠাৎ করে ব্লাড সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আর থাকবে না। তাছাড়া ফাইবার বহুক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারবার মুখ চালাতে মন চায় না। আর কম খাওয়ার কারণে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। ওজন বেশির সঙ্গে ডায়াবিটিস রোগের যোগ রয়েছে। তাই সাবধান! যারা ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিস রোগের শিকার, তারাও রোজের ডায়েটে এই ডাল রাখতে পারেন। উপকার পাবেন।
হার্টের রোগের প্রকোপ এখন ঘরে ঘরে। মধ্য তিরিশ থেকেই এই অঙ্গের একটু বেশিই খেয়াল রাখা উচিত। বিশেষ করে শরীরে যাতে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। নিয়মিত মসুর ডাল খেলে এতে উপস্থিত ফাইবার হল কোলেস্টেরলের যম, তাই শরীরে ফাইবারের পরিমাণ যত বাড়বে, শরীরে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করবে। হার্টে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আর থাকবে না। ফলে নানা ধরনের হার্টের রোগ দূরে থাকতেও বাধ্য হবে।
ক্ষতিকর টক্সিন যদি দেহ থেকে বের করে দেওয়া না যায়, তাহলে রোগভোগের আশঙ্কা বাড়ে। চিকিৎসকেরা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এই উপাদানটি শরীর থেকে সব ধরনের টক্সিক উপাদানকে বের করে দিয়ে ছোট-বড় নানা রোগকে দূরে রাখে। মসুর ডালেও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ত্বক এবং শরীরকে চাঙ্গা রাখার পাশাপাশি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও আরও শক্তিশালী করে তোলে। ফলে কথায় কথায় রোগ-ব্যাধির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে অসময়ে শরীরে বয়সের ছাপ পড়ার সম্ভাবনাও আর থাকে না।
