আজকাল ওয়েবডেস্ক : ইকোপার্কের মুকুটে এবার নতুন পালক। শীতের আগেই তৈরি হল সোলার ডোম রিনিউয়েবল এনার্জি মিডিয়াম। এখানে একটি ছতলা বাড়ি সমান গোল ঘর তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে রোবোটিক্স থেকে শুরু করে নানান তথ্যভিত্তিক জিনিসপত্র যেটা আজকের প্রজন্মকে আকর্ষণ করবে। এমনিতেই ইকো পার্ক সবার কাছে বিশেষ আকর্ষণ। তারপর নতুন এই পালক দর্শকের মনে আরও জায়গা করে নেবে।
এর উদ্বোধন করলেন কলকাতার নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই মিউজিয়ামে প্রবেশ করতে গেলে ১০০ এবং ২০০ টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে হবে। স্কুল থেকে আগত ছাত্র-ছাত্রীরা মাত্র ১০০ টাকা দিয়েই এখানে প্রবেশ করতে পারবে। নতুন এই সোলার ডোম মিউজিয়ামে আসলে আনন্দিত হবেন আজকের প্রজন্মের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই।
ছুটি নেই বলে যাঁরা বেশি দূর ঘুরতে যেতে পারছেন না, অথচ কর্মব্যস্ত সপ্তাহের মাঝে একটি দিন নিরিবিলিতে কাটাতে চান, তাঁরা কলকাতার কাছাকাছি এক দিনের জন্য ঘুরে আসতেই পারেন ইকোপার্ক থেকে। ঘরের কাছেই এমন পৃথিবী দর্শনের সুযোগ এ দেশে আর একটিও নেই।
২০১৩ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। লন্ডনের ‘মাদাম তুসো’ মিউডিয়ামের অনুকরণে ইকোপার্কের উল্টো দিকে তৈরি করা হয় ‘মাদার ওয়াক্স মিউজিয়াম’।
ইকোপার্কে মোট ৬টি গেট আছে। যে কোনও একটি দিয়ে ঢুকলেই হল। তবে ৪ নম্বর গেটের কাছেই আছে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের প্রতিরূপ। সেগুলি দেখেই ইকোপার্ক ভ্রমণ শুরু করতে পারেন। আবার প্রথম থেকেই হাঁটতে ইচ্ছে না করলে ব্যাটারি চালিত গাড়ি বা টয়ট্রনে পুরো ইকোপার্কটা এক ঝলক ঘুরে দেখে নেওয়া যায়।
শীতকালে দিন যেহেতু ছোট তাই সেই অনুযায়ী পার্কের সময়সূচিতেও বদল ঘটে। প্রতি মঙ্গলবার থেকে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এবং রবিবার বা কোনও সরকারি ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই পার্কটি। তবে মনে রাখবেন, ইকো পার্ক প্রতি সোমবার বন্ধ থাকে। পার্কে বাইরে থেকে কোনও খাবার নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। তাই সরকারি ফুড কোর্ট থেকে খাওয়াই ভাল। এখানে সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়।
