আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমিকের বাড়িতে অপমানিত হওয়ার পর মানসিক যন্ত্রণাতে আত্মঘাতী হল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে আত্মঘাতী হল ওই কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার অন্তর্গত যশোহরি গ্রামে। যদিও এই ঘটনায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ইতিমধ্যে মৃতা কিশোরীর পরিবারের তরফ থেকে তিনজনের বিরুদ্ধে কান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সাথে খড়গ্রাম থানার চন্দ্রসিংহবাটি গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল শেখ নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। শুক্রবার বিকেলে জুয়েল এবং সিরাজুল শেখ নামে দুই যুবক ওই কিশোরীকে মোটরসাইকেলে করে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
নির্যাতিতার এক আত্মীয়া বলেন, "শুক্রবার সন্ধে নাগাদ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জুয়েল এবং সিরাজুল নামে ২ যুবক আমার ভাইঝিকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর সারা রাত তাদের বাড়িতে ভাইঝির উপর শারীরিক অত্যাচার হয়। গতকাল সারা রাত বিভিন্ন জায়গাতে খোঁজ করেও আমরা ভাইঝিকে খুঁজে পাইনি।"
তিনি বলেন, "শনিবার ভোর ৬ টা নাগাদ আমার ভাইঝিকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যায় ওই পরিবারের লোকজন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার ভাইঝি গায়ে আগুন জ্বালায়"
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কান্দি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত ওই কিশোরীর পরিবার অভিযোগ করে, "হাসপাতালের পথে সে জানিয়েছে তাকে ওই বাড়িতে অপমান এবং শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছিল। আমাদের সন্দেহ তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। বিয়ে করার জন্য কোনও টাকা বা গয়না বাড়ি থেকে না নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই যুবকের মা কিশোরীকে প্রচন্ড অপমানও করেছিল।"
কান্দি থানার এক শীর্ষ আধিকারিক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, মৃতার বাড়ির তরফে জুয়েল শেখ, রেজিনা বিবি এবং সিরাজুল শেখ নামে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও ঘটনাতে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মৃত্যুর কারণ জানার জন্য পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।