আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিধানসভা ভোট আসছে সামনে। তার আগেই শোনা গেল এনআরসির কথা। এবার ঝাড়খণ্ডে। অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে তারা চালু করতে পারে এনআরসি, এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
রাজ্য বিজেপির দায়িত্বে থাকা চৌহানের দাবি, হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন সরকার অনুপ্রবেশকারীদের সুবিধা করে দিচ্ছে। তারা রোটি, মাটি এবং বেটি বাঁচাতে বদ্ধপরিকর। এরপরই সোমবার তিনি বলেন, বিজেপি নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করতে চলেছে শীঘ্রই। তাদের লক্ষ্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী বানানো না, ঝাড়খণ্ডের মাটিকে রক্ষা করা।
এরপরে তিনি বলেন, একটা সময়ে এই অঞ্চলে আদিবাসী জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪৪ শতাংশেরও বেশি। অনুপ্রবেশকারী ঢুকতে থাকায় তাতে প্রভাব পড়েছে। এরপরই এক হাত নেন ঝাড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে। তিনি বলেন হেমন্ত সোরেনের সরকার ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে কথা বলে। কিন্তু বিজেপি সরকার তা করবে না। অনুপ্রবেশকারীদের স্থান নেই ঝাড়খণ্ডে।
গেরুয়া শিবির আসন্ন নির্বাচনের জন্য পাঁচটি প্রতিশ্রুতির কথা বলেছে। যুব সাথী, গোগো দিদি যোজনা, ঘর সাকার, লক্ষ্মী জোহর এবং কর্মসংস্থান। মহিলাদের প্রতি মাসে ২১০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। নিশ্চিত কর্মসংস্থানের গ্যারান্টির আওতায় পাঁচ বছরে তরুণদের পাঁচ লাখ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ঘর সাকার প্রতিশ্রুতির অধীনে পদ্মফুলের লক্ষ্য সবাইকে একটি করে বাড়ি দেওয়া। যুব সাথী স্কিমের অধীনে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য যুবকদের দুই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ঘোষণা, ক্ষমতায় এলে ২০২৫ সালের মধ্যে এক লাখ সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এছাড়াও উৎসবের মরশুমে এক বছরে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার প্রতি পরিবারকে বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শেষ হচ্ছে বর্তমান মন্ত্রিসভার মেয়াদ। সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডে চলতি বছরের সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া। সে রাজ্যে বিধানসভায় সিট রয়েছে ৮১ জনের। তবে নির্বাচন কমিশন এখনও নির্বাচনের সময়সূচী ঘোষণা করেনি৷
এর আগে নির্বাচন হয় ২০২০ সালে। আগের বিধানসভা নির্বাচনে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ৩০টি আসন, ভারতীয় জনতা পার্টি ২৫ টি এবং কংগ্রেস ১৬ টি আসন জিতেছিল।
