আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ অনিয়মিত জীবনযাত্রা ক্রমশই কোলেস্টেরল আক্রান্তের সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে।পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর কয়েক লক্ষ মানুষ এই লাইফস্টাইল ডিজিজে আক্রান্ত হচ্ছে।বয়স বাড়লেই যে এমন রোগ হয়, তার কিন্তু নয়।শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধলে ওষুধ, স্বাস্থ্যকর খাওয়া আর লাইফস্টাইল বদলানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে ধীর পায়ে সঙ্গে হানা দেয় হৃদরোগ।আর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যাও নেহাত কম নয়।তাছাড়া এখন ৫০ পেরোনোর আগেই হার্ট অ্যাটাকে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
এই আয়ুর্বেদিক ঘরোয়া উপায় বহুকাল ধরে কোলেস্টেরলকে বশে রেখে মানুষের হার্টের যত্ন নেয়।
আমিষ রান্নার অন্যতম এই উপকরণ কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে লড়তেও সক্ষম।স্থূলতার মতো সমস্যা কমাতেও রসুনের জুড়ি মেলা ভার।
পাঁচ থেকে ছয় টুকরো রসুনের কোয়া ভাল করে থেঁতো করে নিন।এতে কাঁচা লাল লঙ্কারগুঁড়ো দিন।এক কাপ গরম জলে থেঁতো করা রসুনগুলো দিয়ে দিন।পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।এবার এক চামচ করে মধু ও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে দিতে হবে।সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এই জল খেয়ে দিন শুরু করুন।কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আনতে এর জুড়ি নেই।
রসুনে থাকা উপকারী উপাদানগুলির মধ্যে অন্যতম অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট।যা শরীরের এল ডি এল অর্থাৎ বাজে কোলেস্টেরলকে কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে ও মেটাবোলিজম বাড়িয়ে দেয়।
ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে এই পানীয় দিয়ে।তবে কোলেস্টেরলে আক্রান্ত হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রসুন খাবেন।রসুন ওষুধের বিকল্প হতে পারে না।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে ওষুধের সঙ্গে ডায়েটের উপরও কড়া নজর রাখা দরকার।ফ্যাট-জাতীয় খাবার যেমন বন্ধ করতে হবে তেমনই স্বাস্থ্যকর খাবার ও জীবনযাত্রাকেও আপন করে নিতে হবে।তবেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে ও আপনার হার্টও থাকবে সুস্থ।
