আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সকালে গরমে গলদঘর্ম অবস্থা, বিকেল গড়াতেই বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছেন।ভাদ্র পেরিয়ে আশ্বিনে আবহাওয়ার এই চরম খামখেয়ালিপনায় শরীরেরও টালমাটাল অবস্থা।সকালে ঘুম থেকে উঠেই খাবার গিলতে গিয়ে গলায় কিছু আটকে আছে মনে হয়। সঙ্গে ব্যথা আর শুকনো কাশি তো আছেই।

আবার পুজোর পরিকল্পনা প্রায় সব সারা।কোন দিন কী পরবেন, কোথায় খাবেন, কোথায় কোথায় ঠাকুর দেখবেন সবটা ভেবেই রেখেছেন।কিন্তু বাদ সাধছে সর্দিকাশি এবং গলাব্যথা। শুধু কি তা-ই?গরম কোনও পানীয় খেলে আরাম হচ্ছে, কিন্তু একেবারে রেহাই মিলছে কোথায়?নুন-গরম জলে গার্গল করছেন, তবে সঙ্গে যদি আরও কিছু টোটকা ব্যবহার করে দেখুন, উপকার পাবেন দ্রুত। পুজোর আগেই সুস্থ হতে এসব ঘরোয়া উপাদানই আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে।প্রদাহনাশক হিসাবে আদাও ভাল। মধুর সঙ্গে আদা গ্রেট করে মিশিয়ে জলে ফুটিয়ে নিন।ছেঁকে নিয়ে খেতে পারেন।আবার আদা ছেঁচে নিয়ে তার রস বার করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়েও খাওয়া যায়।গলা ব্যথার উপশম মিলবে।

একটি প্যানে জল গরম করুন।তার মধ্যে এক মুঠো তুলসীপাতা খুব ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে দিয়ে দিন।ফুটিয়ে নিন।এবার ছেঁকে নিয়ে চায়ের মতো খেতে পারেন।ওই পানীয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। গ্লাসে নুন দিয়ে গরম জল দিয়েও গার্গল করতে পারেন।নুনের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান গলার ইনফেকশনকে সারিয়ে তোলে।

হলুদের মধ্যে বেশ কিছু অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে। ঈষদুষ্ণ দুধের মধ্যে এক চিমটে হলুদ এবং গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। রাতে ঘুমোনোর আগে এই পানীয় খেলে গলা ব্যথায় আরাম পাবেন। আবার এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে আধ চা চামচ ফিটকিরি মিশিয়ে নিন। সারা দিনে অন্তত দু’-তিন বার ওই জলে গার্গল করুন। এতে কিছুটা নুনও দিতে পারেন।তাতে ইনফেকশন এবং ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ কমবে।