আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্ষার বিদায় বেলায় বৃষ্টির দাপটে প্রাণহানি অব্যাহত। একটানা প্রবল বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত মেঘালয়। দফায় দফায় হড়পা বান ও ভূমিধসে ছারখার হয়ে গেছে রাজ্যের একাংশ। শুধুমাত্র শুক্রবার পর্যন্ত মৃত বেড়ে ১০ জন। আহত বহু।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে গারো পাহাড়ে ডালু গ্রামে আচমকা ধস নামে। তরপর থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত গারো পাহাড়ের পশ্চিম এবং দক্ষিণ অংশে একাধিক বার ধস নেমেছে। হড়পা বানে ভেসে গেছে গ্রামের একাংশ। প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার পশ্চিম গারো পাহাড় অঞ্চলে হড়পা বানে তিন জন এবং দক্ষিণ গারোতে ধসে চাপা পড়ে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। হড়পা বান ও ধসের জেরে বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টির কারণে গারো পাহাড়ের কাঠের তৈরি একাধিক সেতু ভেঙে পড়েছে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। হড়পা বানের পর বাঘমারি শহর থেকে ডালু গ্রাম পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অংশের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিশেষত পশ্চিমে ঋষিপাড়া, হাওয়াখানা, সুইপার কলোনি, কামিপাড়া, সানি হিল্স সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শনিবার সকালে বন্যা পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। যে সমস্ত এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে, সেখানে অস্থায়ী পথ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দ্রুত ত্রাণসামগ্রী পৌঁছনোর ব্যবস্থা করতে বলেছেন। নির্দেশ মতো রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। মেঘালয়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে অসমের মনকাচর এলাকায়।
