আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইসরায়েলি হানায় মৃত জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ -এর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। গত কয়েকদিনে ইসরায়েলি সেনার বোমাবর্ষণে লেবানন নরকে পরিণত হয়েছে। ইরানের মদতপুষ্ট হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে সে দেশের সেনা। গত শুক্রবারের হামলায় নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর প্রধান এমনটাই জানিয়েছে সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা।
জানা গিয়েছে, বেইরুটের দাহিয়া পাড়ায় এক বেসামরিক ভবনে লুকিয়ে ছিলেন ওই প্রধান। খবর নিশ্চিত হওয়ার পর ওই এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় সেনাবাহিনী। মুহূর্তে ঘন কালো ধোঁয়ার ঢেকে যায় চারপাশ। এই হামলায় অন্তত ৩০০ জন মারা গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
দীর্ঘদিন ধরেই ইজরায়েলের হিটলিস্টে ছিলেন হিজবুল্লাহর ওই প্রধান। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী তরফে জানানো হয়, ইসমাইল, অনেক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। লেবাননে বিস্ফোরক এবং ড্রোন তৈরির কারখানা বানিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। সেখানে তৈরি রকেট প্রায়ই ইসরায়েল ভূখণ্ডের দিকে উৎক্ষেপণ করা হত। ইসরায়েলের প্রথম সারির সংবাদপত্র জানাচ্ছে, হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ চলার গত এক বছরের মধ্যে এই বেইরুটে সবচেয়ে বড় হামলা ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান মারা গেলেও ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর অন্যান্য কমান্ডার এবং সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হয়েছে কী না তা নিয়ে নিশ্চিত নন তাঁরা। তদন্ত শেষ হলে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবেন তাঁরা।
অন্যদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তাঁর বাড়িতে দেশটির সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একটি জরুরি অধিবেশন ডেকেছেন। এই হামলার নিন্দা করেন তিনি। খামেনির উপদেষ্টা আলী লারিজানি বলেছেন, ইসরাইল তেহরানের রেড লাইন অতিক্রম করছে এবং পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠছে। এই হত্যাকাণ্ড ইসরায়েলের সমস্যার সমাধান করবে না। এর ফলে আরও জটিল হবে দু'দেশের সম্পর্ক।
এই হামলায় ওই অঞ্চল জুড়ে ইরান-সমর্থিত জঙ্গিরা ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জাতিসংঘের সাধারণ সভার ভাষণে ইরানকে লক্ষ্য করে বলেছেন, তেহরানের অত্যাচারীদের জন্য আমার একটি বার্তা রয়েছে। হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান জারি থাকবে। যতদিন না ওরা রকেট ছোঁড়া বন্ধ করছে ততদিন চলবে এই প্রত্যাঘাত। এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ইরানের এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে ইসরায়েল পৌঁছাতে পারে না।
