আজকাল ওয়েব ডেস্ক: যৌনতা নিয়ে আজও সমাজে রাখঢাকের শেষ নেই। প্রকাশ্যে কথা বলতে এখনও সংকোচ বোধ করেন অনেকেই। যার ফলে বয়:সন্ধিকালে কখনও কখনও ভুল পথে চালিত হয় কিশোর-কিশোরীরা। তেমনই একটি বিষয় হল হস্তমৈথুন। যা নিয়েও রয়েছে বিস্তর ভুল ধারণা। স্বমৈথুন কি আদৌ উপকারী নাকি এই অভ্যাসে ক্ষতি হয় শরীরের? জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে।
সমীক্ষা বলছে, পুরুষ এবং মহিলা নির্বিশেষে স্বাভাবিক যৌন উত্তেজনা দূর করতে স্বমেহনেই ভরসা রাখেন অনেকে। মানসিক চাপ কমাতে, ঘুমের উন্নতিতে, উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা এমনকি একাকিত্ব কাটাতেও হস্তমৈথুন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে মহিলা এবং পুরুষের ক্ষেত্রে স্বমেহনের উপকারিতা আলাদা।
সুস্থ যৌনজীবন ও মানসিক সুস্থতা বাড়িয়ে দেয় স্বমৈথুন। এক সমীক্ষার ফলাফলে প্রমাণিত যে, পুরুষ এবং মহিলা নির্বিশেষে সঙ্গীর অনুপস্থিতিতে স্বাভাবিক যৌন উত্তেজনা দূর করতে স্বমেহনেই ভরসা রাখেন। স্বমেহনের ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এই পদ্ধতিতে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ হয়। স্বমেহন শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে ও সঙ্গীর সঙ্গে যৌন মিলনের সময় স্বাভাবিক ও কাঙ্ক্ষিত উত্তেজনায় চরম সুখ লাভ হয়।
অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই অভ্যাস,যা শারীরিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।পুরুষদের ক্ষেত্রে হস্তমৈথুনের অভ্যাস প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় এবং যৌন উত্তেজনা দীর্ঘক্ষণ বজায় রাখতে সাহায্য করে। উল্লেখ্য, স্বমেহন ও সঙ্গমের অনুভূতি কখনও এক হতে পারে না।
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত, ১৮-৩০ বছর বয়সি বিবাহিত অথবা অবিবাহিত মহিলারাই সবচেয়ে বেশি স্বমেহনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেম। এই সময় শারীরিক উত্তেজনায় জরায়ু মুখ উন্মুক্ত হলে জরায়ুতে বাস করা মিউকাস বাইরে বেরিয়ে আসে। মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে ও পিরিয়ডের ব্যথা থেকে রেহাই দিতে পারে।
প্রতিদিনের যৌন জীবনের বাইরে একটু অন্য অনুভূতি এনে দেয় এই পদ্ধতি। নিজের শরীরকে বোঝা এবং একইসঙ্গে পার্টনারের সঙ্গে যৌন সঙ্গমের সময় অনেক বেশি আনন্দ দিতে পারে। যৌনতার ইচ্ছেও বাড়িয়ে দেয় স্বমেহন।
তবে মনে রাখবেন, ফল বা সবজি স্বমৈথুনের সময় ব্যবহার করলে সংক্রমণ হতে পারে। হতে পারে গুরুতর অসুখও। যৌনাঙ্গে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই স্বমৈথুনের ক্ষেত্রে ফল বা সবজি না ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
