আজকাল ওয়েবডেস্ক: বারুইপুরের দমদমা গ্রামে একবার বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়েছিল। কথিত আছে, গ্রামের মানুষদের রক্ষা করতে দেবী দুর্গা বন্দুক হাতে এসেছিলেন দমদমায়। গুলি চালিয়েছিলেন। শত্রপক্ষকে হটিয়ে রক্ষা করেছিলেন গ্রামকে। দুর্গার মহিমা স্মরণীয় করে রাখতে তারপর থেকে পুজোর সময় দেবীর মহিমা প্রচারের জন্য বিসর্জনের আগে দু'বার বন্দুক থেকে আকাশে গুলি ছোঁড়ার রেওয়াজ মেনে চলেন সরদাররা। সেই রীতি এখনও চলে আসছে। পুজোর আগে আর সময়ও নেই বেশি, এই মুহূর্তে বন্দুক পরিষ্কার করার কাজ চলছে।

 

পুজো দমদমার সরদার পরিবার পাঁচ ভাই মিলে একটি মন্দির তৈরি করে। সেখানেই দুর্গামূর্তি স্থাপনও হয়। তখন থেকে ঘটা করে পুজো চলছে। সময়টা তখন ১৩০৭ সাল । এখনও চলছে সেই পুজো। পরিবারের সদস্যদের চাঁদায় তা চলছে।

পুজো শুরু করেছিলেন মনোহর সরদার। গ্রামের মানুষজন পুজোর কয়েকদিন আনন্দে মেতে ওঠেন। মন্দির সংস্কার করে সাজিয়ে তোলার কাজ হয়েছে। প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। প্রতিবছর, জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর পর প্রতিমা নির্মাণ শুরু হয় মন্দিরে। এই পরিবারের সদস্যরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন দেশে-বিদেশে। তবে সবাই বাড়ি আসেন পুজোর সময়। নিরামিশ আহার শেষে নবমীর দিন আমিষ খান পরিবারের সদস্যরা।

পরিবারের সদস্য, অলক সরদার বলেন, 'মাকে রূপোর গয়না পরানো হয়। বংশপরম্পরায় প্রতিমা তৈরি করছে এক কুমোর পরিবার।' পরিবারের অপর এক সদস্য রাজন্য সরদার বলেন, 'বংশপরম্পরায় এই পুজো করে আসছি আমরা। দুর্গা খুব জাগ্রত। পরিবারের দেড়শ সদস্য সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ি পুজোর আয়োজনে। অষ্টমীর দিন অঞ্জলির পর এক কুইন্টাল বাতাসা হরির লুট দেওয়া হয়। মানত পূরণের জন্য মহিলারা ১০০ দণ্ডি কাটেন মন্দিরে।'