মিল্টন সেন,হুগলি : ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে অভিযুক্ত। সুপারভাইজার পিটিয়ে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন। মঙ্গলবার ভোর রাতে তল্লাশি চালিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগর থেকে শ্যামসুন্দর সাউ এবং হুগলির মোল্লাপোতা থেকে বান্টি দাস ও সবর্ণ কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করে চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের মধ্যে একজন শ্যামসুন্দর সাউ সাব কনট্রাকটর। আর বাকি দুই জন শ্রমিক। সিসি টিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের সনাক্ত করে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকেরা। সিসি টিভির ছবিতে দেখা গেছে ঘটনার ধৃত বান্টি খুবই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। ঠিক করে হাঁটতে পারছিল না।
উল্লেখ্য সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনা ঘটে। বিশ্বকর্মা পুজোর খাওয়াদাওয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সুপারভাইজার পাপ্পু দাসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পরে সাহেগঞ্জের জুপিটার কারখানার কয়েকজন শ্রমিক। এদিকে কারখানায় চলছিল পুজোর প্রস্তুতি। এমন সময় কারখানা গেটের বাইরে খাওয়া দাওয়ার টাকা চাওয়া নিয়ে বচসা তীব্র আকার ধারণ করে।
সুপারভাইজারের উপর চড়াও হয় উন্মত্ত কয়েকজন শ্রমিক। রাস্তায় ফেলে বেদম প্রহর করা হয় সুপারভাইজারকে। চলে এলোপাথাড়ি মারধোর। শ্রমিকদের গণপ্রহারে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুপারভাইজার পাপ্পু দাসের। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন কারখানার আরও দুই শ্রমিক। তিন জনকে ব্যান্ডেল ই এস আই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
পরীক্ষা নিরীক্ষার পর হাসপাতালের চিকিৎসক পাপ্পু দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আইসি রামেশ্বর ওঝার নেতৃত্ত্বে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। পৌঁছন চন্দননগর কমিশনারেটের ডিসি হেডকোয়ার্টার ঈশানি পাল, গোয়েন্দা বিভাগের ডিসি ইসরত জাহান রহমান সহ স্পেশাল ব্রাঞ্চের আধিকারিকেরা।
ঘটনার তদন্তে নামে চন্দননগর পুলিশ। কারখানার শ্রমিক স্থানীয় বাসিন্দা দোকানদার প্রত্যক্ষদর্শী সকলের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারী পুলিশ। দ্রুত সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের সনাক্ত করে ফেলা হয়। তার পরেই সর রাত ধরে চলে তল্লাশি। ভোর রাতে গ্রেপ্তার করা হয় তিন অভিযুক্তকে। এদিন ধৃতদের চুঁচুড়া জেলা আদালতে পেশ করে হেফাজতের আবেদন জানায় চুঁচুড়া থানা। ঘটনায় জড়িত বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
