আজকাল ওয়েব ডেস্ক: মাসের শুরুটা ভাল কাটলেও ০-১২ তারিখ পেরোতে না পেরোতেই খালি হতে থাকে পকেট। আর মাসের শেষে মানি ব্যাগ যেন গড়ের মাঠ! প্রতি মাসে একই সমস্যায় ভুক্তভোগী কম-বেশি সব মধ্যবিত্তই। আর তা যদি হয় পুজার মাস, তাহলে তো কথাই নেই! স্বাভাবিকভাবেই পুজোর আগে বেশি খরচ হয়। টাকা-পয়সায় টান পরার ঝক্কিও থাকে বেশি। তাই এই সময়ে বুঝেশুনে খরচ করা জরুরি। কেনাকাটা যতই থাকুক, সামান্য হলেও সঞ্চয় যাতে হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নাহলে পুজো শেষ হলেই বড় সমস্যায় পড়তে পারেন। তাহলে এমন অবস্থা কাটাতে কী করবেন? রইল হদিশ।  

১. প্রথমেই নিজের আয়-ব্যয়ের ভাল করে হিসেব করে নিন। আগের বছরের পুজোর হিসেব মনে করে মোটামুটি এবার কত খরচ হতে পারে তা আন্দাজ করে নিতে পারেন। সেই বুঝে পুজোর জন্য কতটা জমানো দরকার তা বুঝতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পুজোর আগে কোন কোন খরচ কমানো যেতে পারে, সেদিকে দেখে নিতে পারে। 
২. কোন কোন খাতে খরচ করবেন, তার তালিকা আগে থেকেই তৈরি রাখুন। এমন কিছু খরচ আছে, যেগুলি প্রতি মাসেই করতে হয়। সেগুলি আলাদা করে রাখুন। প্রয়োজনে সেই সব খাতে খানিকটা খরচ কমাতে পারেন। 
৩. পুজোর কেনাকাটায় সতর্ক হন। পুজোর কেনাকাটা করার সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। অনেক সময় অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে একই জিনিস বিভিন্ন সাইটে বিভিন্ন দামে ও ছাড়ে পাওয়া যায়। এছাড়া পুজোর আগে দোকানে এবং অনলাইন কেনাকাটার সাইটগুলিতে নানান কম সেল চলতেই থাকে। জামা কাপড় ইত্যাদি বা প্রসাধনী বাবদ একটা বাজেট ঠিক করে রাখতে পারেন। তার থেকে বেশি খরচ যেন না হয়।
৪. যদি চাকুরিজীবীদের বোনাস থাকে, তাহলে বেতনের অংশ সাংসারিক কাজে খরচ করতে পারেন। বোনাস রাখতে পারেন পুজোর খরচের জন্য। এরই মধ্যে কিছু টাকা অবশ্যই সঞ্চয় হিসাবে সরিয়ে রাখুন।
৫. যখন তথন ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার করবেন না। নিজের শখ পূরণ করতে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমান। লোন যত কম নেবেন, ততই ভাল। কারণ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলেও সেই টাকা কোনও না কোনও সময়ে ফেরত দিতে হবে