আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'আমরা খোলা মনে আলোচনা চেয়েছিলাম। ৩৪ দিন পর এই আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়া দরকার ছিল।' মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে বৈঠক হল না। নবান্ন থেকে স্বাস্থ্য ভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে এই বার্তাই দিয়ে গেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সব কিছু ঠিক ছিল। শুধুমাত্র বৈঠকের লাইভ স্ট্রিম করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ হওয়ায় বৈঠক হল না বৃহস্পতিবার।
এদিন বিকেল পাঁচটা থেকে প্রায় দুই ঘন্টা নবান্ন সভাঘরেও বসে রইলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কুলকিনারা না হওয়ায় যোগ দিলেন না চিকিৎসকরা। তবে তাঁরা আশা ছাড়ছেন না। তাঁদের বিশ্বাস আলোচনার মাধ্যমেই জট কাটবে। নবান্ন থেকে রওনা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জুনিয়র চিকিৎসক অর্ণব মুখোপাধ্যায় বলেন, 'শুনলাম নবান্নের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে ভরসা রাখি, একদিন না একদিন নবান্নের দরজা খুলবেই। ওই চেয়ারের ওপর ভরসা আছে। আমরা অবস্থান মঞ্চে ফেরত যাব। আমাদের আন্দোলন চলবে।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, চিকিৎসকদের মধ্যে কয়েকজন আলোচনা চাইছেন না। বাইরে থেকে নির্দেশ আসছে। সেই দাবিকে উদ্দেশ্য করে জুনিয়র চিকিৎসক জানান, 'মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ছোট ভাই বোন বলে সম্বোধন করেছেন। আমরাও ওনাকে শ্রদ্ধা করি। উনি আমাদের থেকে বয়সে বড়। তাও এটা বলে দিতে চাই আমরা এতটাও ছোট নই যে আমাদের কেউ বাইরে থেকে নির্দেশ দেবে। আমরা ডাক্তারি পড়েছি। এখানে আজ আসার পরেও আধিকারিকদের সঙ্গে লাইভ স্ট্রিম নিয়েই আলোচনা হয়েছে। এমন তো নয় যে আমাদের বক্তব্য বদলেছে।'
প্রসঙ্গত, এদিন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের ৩০ জনের প্রতিনিধি দল নবান্নে আসে বৈঠকের জন্য। কিন্তু জটিলতা সৃষ্টি হয় বৈঠকের লাইভ স্ট্রিম করা নিয়ে। প্রশাসন রাজি না হওয়ার ভেস্তে যায় বৈঠক। চিকিৎসকরা ফের রওনা দিয়েছেন স্বাস্থ্য ভবনের দিকে। জানিয়েছেন, সেখান থেকে প্রেস বিবৃতি দিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
