আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১২ আগস্ট, ১৯৫২- ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ৭২ বছর বয়সে প্রয়াত সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। গত কয়েকদিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন বর্ষীয়ান বাম নেতা। মঙ্গলবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় আরও। মঙ্গলবার দুপুরেই জানা গিয়েছিল, সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদকের শারীরিক অবস্থা আরও সঙ্কটজনক। রাখা হয়েছিল আইসিইউতেই। দেওয়া হয়েছিল রেসপিরেটারি সাপোর্ট।
১৯ আগস্ট ফুসফুসের সংক্রমণ-সহ একগুচ্ছ শারীরিক সমস্যা নিয়ে দিল্লি এইমস-এ ভর্তি করা হয়েছিল বর্ষীয়ান বাম নেতাকে। জানা যায়, প্রথমে ফুসফুসের এক অংশে সংক্রমণ ধরা পড়ে, পড়ে তা ছড়িয়ে পড়ে বাকি অংশেও। গত কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে ছিলেন, রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে।
Sitaram Yechury ji was a friend.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi)
A protector of the Idea of India with a deep understanding of our country.
I will miss the long discussions we used to have. My sincere condolences to his family, friends, and followers in this hour of grief. pic.twitter.com/6GUuWdmHFjTweet by @RahulGandhi
তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি-অবনতির মাঝেই গত বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছিল, শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নত হয়েছে বর্ষীয়ান নেতার। তবে, মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সীতারামের শারীরিক অবস্থার কথা জানানো হয়। জানানো হয়, অবস্থা আরও সঙ্কটজনক। শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যার কারণে রাখা হয়েছে রেসপিরেটারি সাপোর্টে। বুধবার রাতের দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বর্ষীয়ান বাম নেতার। বৃহস্পতিবার প্রয়াত বর্ষীয়ান নেতা।
Sad to know that Sri Sitaram Yechury has passed away. I knew the veteran parliamentarian that he was and his demise will be a loss for the national politics.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial)
I express my condolences to his family, friends and colleagues.Tweet by @MamataOfficial
ভারতীয় রাজনীতির মানচিত্রে অন্যতম জনপ্রিয় এক নক্ষত্রের নাম সীতারাম ইয়েচুরি। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্র সীতারামের রাজনৈতির জীবন শুরু হয় ছাত্র সংগঠন থেকেই। ১৯৭৪ সালে তিনি ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য হিসাবে যোগ দেন। তারপর ছাত্র সংগঠনের কাল পেরিয়ে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-তে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। তিনি জেনএনইউ-এর ছাত্র সংসদের সভাপতি পদেও ছিলেন। তিনিই ১৯৭৮ সালে নির্বাচিত হন এসএফআই-এর সর্বভারতীয় যুগ্ম-সম্পাদক হিসাবে। তিনি পরে সভাপতি পদেও নির্বাচিত হন। কেরল ও বাংলার বাইরের কোনও এক নেতা সেই প্রথমবার এসএফআই-এর সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
