মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

বিনোদন | Kangana Ranaut: ‘সেন্সর বোর্ডের উপর জমা কোন ক্ষোভ ‘IC ৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’ নির্মাতাদের উগরে দিলেন কঙ্গনা?

Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯ : ১৮Rahul Majumder


সংবাদ সংস্থা মুম্বই: কঙ্গনা রানাউতের আসন্ন ছবি ‘ইমার্জেন্সি’র মুক্তি নিয়ে নিয়ে কাটছে না জট। সেন্সর বোর্ড এই ছবির শংসাপত্র দিচ্ছে না তাঁকে। সমাজমাধ্যমে নিজেই একথা জানিয়েছিলেন কঙ্গনা। অভিনেত্রী-সাংসদ বলেছিলেন, “সেন্সর বোর্ডেরও নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। আমি আশা করছি, এই ছবিটা মুক্তি পাবে।আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে ওরা কিছুতেই ছাড়পত্র দিচ্ছে না।” তবে এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও গর্জে উঠেছেন কঙ্গনা - "ছবিমুক্তির জন্য আমি আদালত পর্যন্ত যেতে পারি। আমি আমার অধিকার রক্ষা করবই। ভয় দেখিয়ে ইতিহাস কেউ বদলাতে পারবে না।” এসবের মধ্যেই এবার ‘IC ৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’ ওয়েব সিরিজ নিয়ে বিতর্কে মুখ খুললেন কঙ্গনা। নাম না করে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সকে একহাত নেওয়ার পাশাপাশি ক্ষোভ উগরে দিলেন সিরিজের পরিচালক অনুভব সিনহার বিরুদ্ধেও। 

 

সিনেমা ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সেন্সরশিপের ফারাক নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কঙ্গনা। অবশ্য সেটা তিনি করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির আইটি সেলের জাতীয় আহ্বায়ক অমিত মালব্যর একটি পোস্ট শেয়ার করে।

 

 

অমিত মালব্যর পোস্ট শেয়ার করে কঙ্গনা রানাওয়াত টুইট করলেন, ‘দেশের আইন হল, যে কেউ কোনও সেন্সরশিপ ছাড়াই ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিতে অকল্পনীয় পরিমাণ হিংসা এবং নগ্নতা দেখাতে পারে, কেউ তাদের রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত অশুভ উদ্দেশ্য অনুসারে বাস্তব জীবনের ঘটনাগুলিকেও বিকৃত করতে পারে, কমিউনিস্ট বা বামপন্থীদের জন্য সমস্ত স্বাধীনতা রয়েছে এই ধরনের জাতীয়তা বিরোধী অভিব্যক্তির জন্য। তবে জাতীয়তাবাদী হিসাবে কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাদের ভারতের অখণ্ডতা এবং ঐক্য নিয়ে ছবি বানাতে দিতে চায় না। দেখে মনে হয় সেন্সরশিপের নিয়ম শুধু আমাদের মতো কয়েকজনের জন্য, যারা এই জাতিকে টুকরো করতে চান না। এবং সিনেমা নির্মাণ করতে চান ঐতিহাসিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটা যেমন অন্যায্য, তেমনই মন ভেঙে দেওয়া।’

 

 

অমিত মালব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘IC-814-এর হাইজ্যাকাররা ছিল ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী, যারা তাদের মুসলিম পরিচয় গোপন করার জন্য ছদ্মনাম রেখেছিলেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা অনুভব সিনহা, তাদের অমুসলিম নামগুলিকে তোল্লাই দিয়ে তাদের অপরাধমূলক উদ্দেশ্যকে বৈধতা দিয়েছেন। ফলাফল? কয়েক দশক পরে, লোকেরা মনে করবে হিন্দুরা IC-814 হাইজ্যাক করেছে। পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের, যারা সবাই মুসলিম, তাদের অপরাধকে হোয়াইটওয়াশ করা বামেদের এজেন্ডা। এটি সিনেমার শক্তি, যা কমিউনিস্টরা সত্তরের এর দশক থেকে আক্রমণাত্মকভাবে ব্যবহার করে আসছে। হয়তো আরও আগে থেকে। এটি দীর্ঘমেয়াদে ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শুধু দুর্বল করবে না। বরং একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর থেকেও দোষ সরিয়ে দেবে, যা সমস্ত রক্তপাতের জন্য দায়ী।’