সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: আবার তীরে এসে তরী ডুবল। ক্রিকেট জীবনের আক্ষেপ মিটল না কোচিং জীবনেও। বিশ্বকাপ অধরা। এমএস ধোনির সঙ্গেই যেন অবসরে চলে গিয়েছে ভারতের আইসিসি ট্রফি জয়ের ভাগ্য। এক দশক পেরিয়ে গেলেও ট্রফি জুটল না বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার কপালে। একই সঙ্গে ভাগ্যের চাকা ঘুরল না রাহুল দ্রাবিড়েরও। তাঁর দল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতলেও সিনিয়র দলের হয়ে কোনও বিশ্বকাপ নেই। ২০ বছর আগে ২০০৩ সালে ক্রিকেটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার কাছেই বিশ্বকাপ ফাইনাল হেরেছিলেন। এবার কোচ হিসেবে। তবে এবার সবকিছু ভারতের পক্ষে ছিল। ঘরের মাঠ, দুরন্ত ফর্ম, ১ লক্ষ ৩০ হাজারের সমর্থন, ১৪০ কোটির প্রার্থনা। কিন্তু নিট ফল শূন্য। আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে আরও একটি হারের তকমা নিয়ে কেঁদে মাঠ ছাড়তে হল রোহিতদের। অনেকেই হয়তো এর জন্য পিচকেই দুষবে। কিন্তু তেমন মনে করেন না রাহুল দ্রাবিড়। ভারতের কোচের স্বীকারোক্তি, ৪০ রান কম করেছে তাঁরা। দ্রাবিড় বলেন, "শুরুতে পিচ একটু মন্থর ছিল। তবে সেটা কোনও সমস্যা নয়। আমরা ৩০-৪০ রান কম করেছি। ২৮০-২৯০ রান করতে পারলে লড়াই হত। অস্ট্রেলিয়া ভাল বল করেছে। দুপুরে বল ব্যাটে আসছিল না। যার ফলে আমরা বাউন্ডারি মারতে পারিনি। প্রত্যেকবার পার্টনারশিপ গড়ার মুখে আমরা উইকেট হারিয়েছি। যখনই আমরা হাত খুলে খেলার কথা ভেবেছি, তখনই উইকেট পড়েছে। তাই রানটা চেপে গিয়েছে। ওই পরিস্থিতিতে বিরাট, রাহুলের ব্যাটিংয়ের ধরন ঠিকই ছিল। কিন্তু ওরা আউট হয়ে যায়। একই জিনিস হেড এবং লাবুশেনও করে। কিন্তু ওরা আউট হয়নি।"
গত দশ বছরে একই ঘটনা বারবার ঘটছে। ফাইনালে হার। নক আউট পর্বে সাফল্যের গড় হতাশজনক। এর কোনও ব্যাখ্যা নেই দ্রাবিড়ের কাছে। শুধু জানান, সঠিক সময় কোনও না কোনও ভুল হয়ে যাচ্ছে। দ্রাবিড় বলেন, "এরকম তিনটে ঘটনায় আমি জড়িত। আমরা নির্দিষ্ট দিনে ভাল খেলতে পারিনি। ব্যাটিং ভাল হয়নি। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়নি। অস্ট্রেলিয়া টানা আট ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছেছে। আজ সব বিভাগেই ওরা আমাদের থেকে ভাল খেলেছে।" ড্রেসিংরুমে যে ভেঙে পড়েছেন বিরাট, রোহিতরা, সেটা দ্রাবিড়ের কথায় স্পষ্ট। ভারতের কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি ছিল দ্রাবিড়ের। শোনা যাচ্ছিল তারপরই দায়িত্ব ছাড়বেন তিনি। আবার শোনা যায়, শুধুমাত্র লাল বলের ক্রিকেটে কোচ হিসেবে তাঁকে রেখে দেওয়া হতে পারে তাঁকে। পরের বিশ্বকাপ, বা পরের বছর টি-২০ বিশ্বকাপে কি তাঁকে কোচ হিসেবে দেখা যাবে? দ্রাবিড় বলেন, "আমি এসব নিয়ে এখনও ভাবিনি। আমার এই বিশ্বকাপে সমস্ত মনোযোগ ছিল। সবে শেষ হল। মাঠ থেকে সরাসরি সাংবাদিক সম্মেলনে এলাম। ভাবার সময় পাইনি। কদিন যাক তারপর ভাবব। ভবিষ্যৎ নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেব।" তাঁর ভাগ্য বোর্ডের হাতে। আগামী দিনে দ্রাবিড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন জয় শাহরা।
গত দশ বছরে একই ঘটনা বারবার ঘটছে। ফাইনালে হার। নক আউট পর্বে সাফল্যের গড় হতাশজনক। এর কোনও ব্যাখ্যা নেই দ্রাবিড়ের কাছে। শুধু জানান, সঠিক সময় কোনও না কোনও ভুল হয়ে যাচ্ছে। দ্রাবিড় বলেন, "এরকম তিনটে ঘটনায় আমি জড়িত। আমরা নির্দিষ্ট দিনে ভাল খেলতে পারিনি। ব্যাটিং ভাল হয়নি। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়নি। অস্ট্রেলিয়া টানা আট ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছেছে। আজ সব বিভাগেই ওরা আমাদের থেকে ভাল খেলেছে।" ড্রেসিংরুমে যে ভেঙে পড়েছেন বিরাট, রোহিতরা, সেটা দ্রাবিড়ের কথায় স্পষ্ট। ভারতের কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি ছিল দ্রাবিড়ের। শোনা যাচ্ছিল তারপরই দায়িত্ব ছাড়বেন তিনি। আবার শোনা যায়, শুধুমাত্র লাল বলের ক্রিকেটে কোচ হিসেবে তাঁকে রেখে দেওয়া হতে পারে তাঁকে। পরের বিশ্বকাপ, বা পরের বছর টি-২০ বিশ্বকাপে কি তাঁকে কোচ হিসেবে দেখা যাবে? দ্রাবিড় বলেন, "আমি এসব নিয়ে এখনও ভাবিনি। আমার এই বিশ্বকাপে সমস্ত মনোযোগ ছিল। সবে শেষ হল। মাঠ থেকে সরাসরি সাংবাদিক সম্মেলনে এলাম। ভাবার সময় পাইনি। কদিন যাক তারপর ভাবব। ভবিষ্যৎ নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেব।" তাঁর ভাগ্য বোর্ডের হাতে। আগামী দিনে দ্রাবিড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন জয় শাহরা।
