সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: জনসমুদ্র। মোতেরার চিত্রকে এক কথায় এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়। খেলা শুরু হওয়ার ঘণ্টা পাঁচেক আগে থেকেই এই ছবি। রাস্তায় থিক থিক করছে ভিড়। ২টো থেকে ম্যাচ। কিন্তু সকাল ৯টা থেকেই স্টেডিয়াম চত্বর ঠাসা। যেন আহমেদাবাদের সব মানুষ গিয়েই ভিড় জমিয়েছে মতেরায়। স্টেডিয়ামের দর্শক আসন ১ লক্ষ ৩০ হাজার। কিন্তু রাস্তাঘাট দেখে মনে হবে তার দ্বিগুণ মানুষ মাঠে নেমে পড়েছে। চারিদিকে হাজার হাজার রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি। যেদিকেই নজর যাচ্ছে, দুই মহাতারকার জার্সিধারীরা। গালে তেরঙ্গা, গায়ে জার্সি, ২০০৩ বিশ্বকাপের বদলায় ফুঁসছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। হাতে নানা পোস্টার। তার ৯০ শতাংশতেই বদলার বার্তা।



চারিদিকে বিরাট, রোহিতের নামে জয়ধ্বনি। তারমধ্যে দেখা মিলল রোহিত শর্মার ডুপ্লিকেটেরও।‌ দূর থেকে দেখে একেবারে রোহিত মনে হবে। হিটম্যানের হাতে ট্রফি দেখতে পড়শি রাজ্য থেকে ছুটে এসেছেন। ভারতের জার্সি পতাকা ছাড়াও রাস্তায় বিকোচ্ছিল নরেন্দ্র মোদির মুখোশ। ছিলেন জামনগর থেকে আসা তাঁর ডুপ্লিকেট লোকেশ গোহিল। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের গ্যালারির রং নীল। কানায় কানায় ঠাসা। যেদিকেই চোখ যাচ্ছে, সেদিকেই নীল। শচীন তেন্ডুলকার বিশ্বকাপ নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতেই ১৪০ ডেসিবেলে চিৎকার। উত্তাল হয়ে যায় গ্যালারি। ম্যাচ শুরুর আগে কোহলিকে জার্সি উপহার দেন শচীন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে এই জার্সি পড়েই খেলেছিলেন তিনি। জার্সি নিয়ে ছবিও তুলতে দেখা যায় বিরাটকে।

তবে ভারতের ব্যাটিংয়ের সময় নিরাপত্তার বেষ্টনী টপকে মাঠে প্রবেশ করলেন এক সমর্থক। নরেন্দ্র মোদি আসবে বলে নিরাপত্তার মোড়কে মোড়া স্টেডিয়াম। তিনধাপ সিকিউরিটি চেক পেরিয়ে আসতে হয়েছে মিডিয়া সেন্টারে। কিন্তু অনায়াসেই এক নেপালি সমর্থক ঢুকে পড়লেন মাঠে। সাদা টি শার্ট, লাল হাফ প্যান্ট। হাতে প্যালেস্টাইনের পতাকা। জার্সিতে লেখা, "স্টপ বোম্বিং প্যালেস্টাইন"। ঢুকেই বিরাট কোহলিকে জড়িয়ে ধরেন। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে মাঠ থেকে বের করে দেয়। প্যালেস্টাইনের সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই একটি ঘটনা ছাড়া জমজমাট বিশ্বকাপের ফাইনাল।