আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ। পরবর্তী সময় যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তরুণী। তারপরেই মর্মান্তিক পরিণতি হয় বর্ধমানের আদিবাসী ওই তরুণীর। নান্দুরের ঝাপানতলায় আদিবাসী তরুণী হত্যাকাণ্ডের কিনারা হতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ওই মেয়েটিকে হত্যা করেছে তাঁর প্রেমিক, এই অভিযোগেই পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে বছর ছাব্বিশের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৪ আগস্ট বর্ধমানের নান্দুরের ঝাপানতলায় আদিবাসী তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
ধানখেতে ওই তরুণীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। শুরু হয় ঘটনার তদন্ত। হত্যাকাণ্ডের ৯ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত।
গ্রেপ্তারির পর সাংসবাদিক বৈঠক করে জেলা পুলিশ সুপার জানান, ধৃত পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবড়ার বাসিন্দা। প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে অবনতি ঘটায় এই খুন, প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই মনে করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কাজের সূত্রে দু'জনেই বেঙ্গালুরুতে থাকত। সেখান থেকেই প্রণয়ঘটিত সম্পর্কের সূচনা। গত ১২ আগস্ট একসঙ্গেই বর্ধমানে আসেন তাঁরা। এরপর একান্তে যুবকের সঙ্গে দেখা করেন তরুণী।
পুলিশের অনুমান, সেইসময় কোনও বিষয়ে মত্যপার্থক্য হওয়ায় তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে অভিযুক্ত। তারপর ধানখেতে দেহ ফেলে রেখে চম্পট দেয় পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে ৩১ সদস্যের সিট গঠন করে পুলিশ। এরপর পাঁশকুড়ায় পুলিশের জালে ধরা পড়ে অভিযুক্ত।
শনিবার ওই যুবককে কোর্টে তোলা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে অবনতি নাকি হত্যার পেছনে অন্য কোনও কারণ বা চক্রান্ত রয়েছে? সেই হদিশ পেতে অভিযুক্তকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।
