বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
AM | ২১ আগস্ট ২০২৪ ১৩ : ১১Arijit Mondal
গৌতম রায়: কেন্দ্রে তৃতীয় দফার মোদি সরকার গত ৮ আগষ্ট, ২০২৪, ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংসদে পেশ করেছে। ১৯৫৪ সালে বর্তমান ওয়াকফ আইন তৈরি হয়েছে। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইনের সংশোধনী আনা হয়েছিল যৌথ সংসদীয় কমিটির সুপারিশ মোতাবেক। সে ভাবেই নতুন ভাবে ওয়াকফ আইন তৈরি হয়েছিল। ২০১৩ সালে আরও কিছু সংশোধনী যুক্ত হয়েছিল। এই মুহূর্তে ভারত জুড়ে নথিভুক্ত কমবেশি সাড়ে আট লক্ষের মতো ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। ওয়াকফ সম্পত্তির আয় থেকে পাওয়া টাকা সংখ্যালঘু মুসলমান জনগনের উন্নয়নের জন্য খরচ করা হয়।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার চালু ওয়াকফ আইনের উপর চল্লিশটি সংশোধনী এনেছে। এই সংশোধনীগুলির ভিতর দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি ওয়াকফ বোর্ডের উপর সরকারি কর্তৃত্ব বাড়াতে চাইছে। বর্তমানে যে আইন রয়েছে, সেই আইনে ওয়াকফের দখলে থাকা জমি বা সম্পত্তিতে একমাত্র অধিকার ওয়াকফ বোর্ডের । ওয়াকফ বোর্ডই একমাত্র সেই সম্পত্তিগুলির পর্যালোচনা করতে পারে। এই বিষয়ে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের কোনও সুযোগ নেই।
এই ব্যবস্থা পাল্টাতে চাইছে মোদী সরকার। অর্থাৎ; আগামী দিনে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ড নিজেদের বলে দাবি করলে তার বাধ্যতামূলক পর্যালোচনা করবে সরকার। বুঝতেই পারা যাচ্ছে, বিজেপি সরকারের পর্যালোচনা কী হতে পারে!
ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি খতিয়ে দেখার ও খবরদারি করার আইনী ক্ষমতা কেন্দ্র সরকার নিজেদের হাতে রাখতে চাইছে। এ ভাবে সংখ্যালঘু মুসলমানদের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার ঘুরপথে খর্ব করতে চাইছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণভাবে তাদের রাজনৈতিক হিন্দু সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাইছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিল যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিরোধী এবং অবশ্যই সংবিধানের মূল ভাবনা বিরোধী।
সংসদে এই বিলের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। সরকার বাধ্য হয়েছে বিলটি পর্যালোচনা করতে ৩১ জন সাংসদ (লোকসভা ২১ এবং রাজ্যসভা ১০)-কে নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করতে। উদ্বেগের বিষয় এই যে, সরকার যৌথ সংসদীয় কমিটিতে কেন্দ্র এনডিএ জোটের সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রেখেছে। বামপন্থী সাংসদদের সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তবু প্রত্যাশা, যৌথ কমিটি সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করবে।
গোটা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ওয়াকফ সম্পত্তির কম্পিউটার নথিভুক্ত করা একান্ত জরুরি। একটিও ওয়াকফ সম্পত্তির যেন বেআইনি হস্তান্তর না হয়, বা শাসক দলের কর্মীদের মদতে জবরদখল না হয়- সে বিষয়ে জোরদার আইনি রক্ষাকবচ দরকার। ওয়াকফ সম্পত্তির অর্থ যেন সংখ্যালঘু উন্নয়নেই ব্যয় করা হয়।
সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের প্রতি ভারতের শাসকদলের মানসিকতা কী, তা কোনও সচেতন নাগরিকেরই অজানা নয়। মুসলমান সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করবার জন্য ভারতের শাসক দল বিজেপি এবং তাদের মূল মস্তিষ্ক আরএসএস ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড করে চলেছে।
বিজেপির মস্তিষ্ক আরএসএসের তাত্ত্বিক ভিত্তির অন্যতম প্রধান নির্মাতা এমএস গোলওয়ালকর লিখিতভাবেই জানিয়েছিলেন, মুসলমান সম্প্রদায়ের সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী। মুসলমান সম্প্রদায়কে যে তাঁরা সংখ্যাগুরু রাজনৈতিক হিন্দুদের অধীনে, কার্যত জিম্মি হিসেবে রাখতে চায়, সে কথা ও খুব খোলাখুলি ভাবেই '৪৭-এর স্বাধীনতার অব্যবাহিত পরে গোলওয়ালকর বলেছিলেন।
মুসলমানদের ভারতে থাকতে হলে সংখ্যাগুরু রাজনৈতিক হিন্দুদের অধীনস্থ হয়ে থাকতে হবে এ কথা বলতেও কখনও দ্বিধা করেননি গোলওয়ালকার। পরবর্তী সময়ে আমরা নাগরিকত্ব আইন সংশোধন ঘিরে আরএসএসের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপির যে অবস্থান দেখেছি, সেই কর্মকাণ্ডের ভেতর দিয়েই খুব পরিষ্কার হয়ে ওঠে, সহ-নাগরিক মুসলমান সম্প্রদায়ের সম্পর্কে কী ধরনের রাজনৈতিক এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গোটা হিন্দুত্ববাদী শক্তি নিজেদের পরিচালিত করছে।
মোদির দ্বিতীয় দফা প্রধানমন্ত্রীত্ব কালে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপি ভারতীয় সংবিধানের খোলনলচে বদলে ফেলার নানা ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। সেই প্রচেষ্টার সবথেকে বড় অংশ ছিল নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন। এই নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনের ভেতর দিয়ে নানা ধরনের উপায়ে ভারতের সহনাগরিক মুসলমান সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব হরণের একটা জোরদার ষড়যন্ত্র সেই সময় চালানো হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্রটা খুব বেশি হয়েছিল বাংলাভাষী মানুষদের কেন্দ্র করে।
পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য রাজ্যগুলিতে কর্ম উপলক্ষে যে সমস্ত বাংলাভাষী মানুষেরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা ধর্মীয় বিশ্বাসে মুসলমান, সেই সমস্ত মানুষদের, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দেখানোর একটা ভয়াবহ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে, গোটা হিন্দুত্ববাদী শিবির। বাংলাভাষী মুসলমানদের পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষিতকে অস্বীকার করে, তাঁদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দেখানোর একটা অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে হিন্দুত্ববাদীরা। এক্ষেত্রে যে সমস্ত আঞ্চলিক রাজনৈতিক শক্তি গুলি বিভিন্ন সময় হিন্দুত্ববাদীদের কাছাকাছি থেকেছে, তারাও নানাভাবে এ ধরনের প্ররোচনা তৈরির ক্ষেত্রে একটা অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে এসেছে।
বাংলাভাষী মানুষ, যাঁরা ধর্মে মুসলমান, পেটের দায়ে গোটা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত, সেই সমস্ত মানুষদের উপরে নানাভাবে অন্যায় জুলুম গত দশ বছরে বিভিন্ন খবরের কাগজে প্রায় প্রতিদিনই স্থান করে নিয়েছিল। এ ধরনের ঘটনাক্রম কেবলমাত্র ধর্মভিত্তিক বিভাজনের রূপরেখাকেই স্পষ্ট করেনি। জাতপাত ভিত্তিক বিভাজন, ভাষাভিত্তিক বিভাজন, এসবের রাস্তাটাকেও আরও বেশি করে পরিষ্কার করেছে।
এই যে সামগ্রিকভাবে বিভাজনের রাস্তা পরিষ্কার করবার বিষয়, সেটা অতি সাম্প্রতিককালে আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের, ভারতে জাত ব্যবস্থা বজায় রাখবার পক্ষে ওকালতির মধ্যে দিয়ে আরও স্পষ্ট ভাবে উঠে আসছে। গোটা ভারতের সামাজিক পরিকাঠামোটিকে ব্রাহ্মণ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে দিয়ে পরিচালিত করাই হচ্ছে সমগ্র, হিন্দু সম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তির অত্যন্ত বড় একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই তারা গণতান্ত্রিক উপায়ে অর্জিত রাষ্ট্রক্ষমতাকে পরিণত করতে চায় একটা ফ্যাসিবাদী প্রেক্ষিতে। আর সেভাবেই তারা রাষ্ট্র ক্ষমতাকে চিরকালীন করতে চায়।
সেই লক্ষ্যই তারা সেন্সাসকে ঘিরেও নানা ধরনের ওজর আপত্তি তৈরি করে, দীর্ঘকাল ধরে জনগণনার কাজটিকে বন্ধ করে রেখেছে। গোটা বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে আর্থ -সামাজিক -সাংস্কৃতিক প্রয়োজনের নিরিখেই জাতপাত ভিত্তিক জনগণনার বিষয়টিকে জোরদার ভাবে তুলে আনা সত্ত্বেও, বিজেপি তাদের এনডিএ নামক নীতিবিহীন, সুবিধাবাদী জোটের দৌলতে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এখনও সংসদে রয়েছে, তাকে ব্যবহার করে জনগণনার মতো বিষয়টিকেও নানা ওজর আপত্তিতে আটকে রেখেছে।
এইরকম একটা অবস্থায় যখন ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের সাম্প্রদায়িক মানসিকতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তখনই কিন্তু প্রকাশ্যে এসেছে জাত ব্যবস্থা বজায় রাখবার পক্ষে আরএসএস প্রধানের স্পষ্ট বার্তা। সামগ্রিকভাবে ধর্ম-জাতপাত ইত্যাদির নিরিখে বিভাজনের যে প্রচেষ্টা, তা ভারতের সংবিধানের মূল পরিকাঠামোর পরিপন্থী। ভারতের সংবিধানের মূল পরিকাঠামোতে এই ধরনের অপচেষ্টাকে শুধুমাত্র নেতিবাচক মানসিকতা দিয়েই দেখা হয়নি , সেটাকে অপরাধমূলক প্রবণতা বলেই অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে ।
গোটা হিন্দুত্ববাদী শিবির সাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেও ভারতের সংবিধানের মূল নির্যাসের প্রতি তারা আদৌ শ্রদ্ধাশীল নন। আস্থাবান নন।
গত দশ বছরের বেশি সময় ধরে একক শক্তি নিয়ে যখন বিজেপি কেন্দ্রে সরকার পরিচালনা করেছে, তখন নানাভাবে তারা ভারতের সংবিধানের যে মূল পরিকাঠামো গণতন্ত্র ,সার্বভৌমত্ব ,যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র-- এই সমস্ত কিছুর বিরোধিতা করে, কীভাবে ভারতের মহান সংবিধান কে পদদলিত করতে পারা যায় ,তার চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি ।
ভারতের সংবিধানকে পদদলিত করবার ক্ষেত্রে আরএসএস, বিজেপি-সহ গোটা হিন্দুত্ববাদী শিবিরের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্যই ছিল ভারতের-সহ নাগরিক সংখ্যালঘু মুসলমানদের সংবিধান প্রদত্ত যাবতীয় অধিকারকে খর্ব করা। ওয়াকফ সংশোধনী আইন, যেখানে এই ব্যবস্থার মধ্যে অ-মুসলমানদের প্রবেশ করিয়ে সামগ্রিকভাবে গোটা ওয়াকার সম্পত্তিটি দখলে হিন্দুত্ববাদীদের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, এই গোটা বিষয়টি কিন্তু ভারতীয় সংবিধানের মূল পরিকাঠামোর বিরোধী। ভারতীয় সংবিধান, সংখ্যালঘুর ব্যক্তিগত অধিকারকে সম্পূর্ণভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সংখ্যালঘু, তিনি ধর্মভিত্তিকই হোন, আর জাতপাত ভাষা বা লিঙ্গভিত্তিকি হোন, তাঁর অধিকার সংরক্ষণের ব্যাপারে ভারতের সংবিধান যে ধরনের রক্ষাকবচ দিয়েছে, সম্ভবত বিশ্বের আর কোনও দেশের সংবিধানে এমন শক্তিশালী রক্ষা কবজ নেই।
সংখ্যালঘুর রক্ষাকবচকে বিনষ্ট করাই হল হিন্দুত্ববাদীদের লক্ষ্য। কিন্তু সংখ্যালঘুর এই রক্ষাকবচ সেটা ওয়াকফ থেকে শুরু করে তাঁদের ব্যক্তিগত আইন --এটা কিন্তু কারওর দয়ার দান নয়। ভারতের সংবিধান, সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের প্রতি কোনও দয়াপরবশ হয়ে, মুসলমানদের ব্যক্তিগত আইন অধিকারের বিষয়গুলিকে এভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। ব্রিটিশের সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তরের যে চুক্তি সেই সময় ভারতের প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতাদের হয়েছিল, সেই চুক্তির শর্ত ছিল; সংখ্যালঘুরা যে সমস্ত অধিকার ব্রিটিশ ভারতে পেয়ে এসেছে, সেগুলি তাঁরা স্বাধীন ভারতেও পাবে।
ক্ষমতা হস্তান্তরের সেই চুক্তিই হচ্ছে ভারতের সংবিধানের মূল পরিকাঠামো। ভারতের নাগরিকদের অধিকারের বিষয়টি কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তদের চুক্তির মূল বিষয়টিকে ভিত্তি করেই রচিত হয়েছে। ভারতের সংবিধানে সংখ্যালঘুর যে অধিকার, সেই অধিকারের মধ্যে ব্যক্তিগত আইন থেকে শুরু করে ওয়াকফ বোর্ড, ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষা করবার অধিকার মুসলমানদের রয়েছে, সেগুলি সবই ব্রিটিশের কাছ থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের চুক্তির ফলশ্রুতি।
সুতরাং, এই বিষয়গুলির যদি পরিবর্তন ঘটানো হয় , তাহলে সার্বিকভাবে ভারতের সংবিধানের মূল পরিকাঠামোটিরই পরিবর্তন ঘটানো হয়। ভারতের সংবিধানের মূল পরিকাঠামোর পরিবর্তন ঘটানো সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে কোনও রাজনৈতিক দলই কখনও করতে পারে না ।
একটা সময় আমরা দেখেছি, ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস কিভাবে ভারতীয় সংবিধানের মূল পরিকাঠামোকে পরিবর্তন করে একটা স্বৈরাচারী শাসন এদেশে কার্যকর করবার চেষ্টা করেছিল। পরবর্তীকালে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ সেই স্বৈরাচারের বাঁধ ভেঙে দিয়েছিল।
আজ যদি হিন্দুত্ববাদী শক্তি, সংখ্যালঘুর অধিকারের বিষয়, যেগুলি সংখ্যালঘুরা কারোর দয়ার দানে নয় ,ক্ষমতা হস্তান্তরকালে ব্রিটিশ যে সমস্ত বিষয়গুলি সেই চুক্তিতে উল্লেখ করেছে, তার মোতাবেক পেয়ে আসছে, সেগুলির পরিবর্তন ঘটাতে চায়, তবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যে ধরনের বিক্ষোভের সামনে দাঁড়াতে হবে ভারত সরকারকে, সেটা ভারত সরকার বোঝে।
এই মুহূর্তে (২০২৪), ভারত সরকারের পরিচালক, গোটা হিন্দুত্ববাদী শক্তিকে আশা করি তার প্রেক্ষিত বোঝেন। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের সাধারণ মানুষ যেভাবে হিন্দুত্ববাদী শক্তিকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তার কার্যকারণ সূত্রেই খুব ভালভাবে অনুধাবন করবার চেষ্টা করবেন।