নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্য তোলপাড়। রাজ্য রাজনীতি উত্তাল তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। যত সময় পেরোচ্ছে ততই আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে। সর্বস্তরে। ঘটনা নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দিলেন গান তৈরির কারিগর শিলাজিৎ মজুমদার?
শিলাজিতের কথায়, "আরজি করের ঘটনাকে নিন্দা জানানোর ভাষা অন্তত আমি খুঁজে পাচ্ছি না। যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন যে কেন রাতে একা সেমিনার রুমে গেল সে...এসব কথাকে পাত্তা দেওয়াই উচিত নয়। শিল্পী হিসাবে কী মানুষ হিসাবেই শিউরে উঠেছি। অপরাধকে কোনওদিনই সমাজ থেকে পুরোপুরি মিটিয়ে ফেলা যাবে না, যায় না। তবে যেটা আমার ভয়ের লাগছে তা হল যারা অপরাধী তারা নির্ভীকভাবে কথা বলছে! বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েকটি ঘটনায় দেখা যাচ্ছে অপরাধীদেরই দাপট সাংঘাতিক। এটা কীভাবে সম্ভব হচ্ছে! নিশ্চয়ই তাদের প্রশ্রয় দেওয়ায় হচ্ছে নইলে অপরাধ করে বুক ফুলিয়ে ঘুরছে কী করে তারা? আর অত্যাচার তো পুরুষদের উপরেও হচ্ছে। পুরুষদের মানসিক ধর্ষণ করা হয় না?"
আরও বলেন, "রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সরকারের উচিত যে অপরাধীগুলো গোকুলে বাড়ছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিক। কড়া বার্তা তাদের দেওয়া উচিত। এটা ভীষণ জরুরি। কে দিচ্ছে ওদের সাহস? কে দিচ্ছে ওদের প্রশ্রয়? এসব দেখেই তো দৃষ্টান্ত তৈরি হয়। আর একটা কথা, কেন সব বিষয়ে প্রথমে রাজনৈতিক নেতারা মতামত জানান? তখনই তো কোনও ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগে। বিভক্তি হতে শুরু হয়..."
উল্লেখ্য, ১৪ অগস্টের রাত জেগে থাকবে সারা বাংলা, রাস্তায়। তেমনই ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। গোটা দেশের নজর এখন সেই রাতের দিকে। বুধবার মধ্যরাতে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি। সেই বিষয়ে শিলাজিৎ বলেন, "অবশ্যই চেষ্টা করব যাদবপুরের জমায়েত-এ হাজির হতে। তবে বিষয়টি হল এই আন্দোলন নারীরা ডেকেছেন, মানুষ ডেকেছেন। এত মানুষ সমর্থন করছেন সেখানে আমি কে? জোর গলায় বলতে চাই, মেয়েরা যেখানে এগিয়ে এসেছে, দাঁড়িয়ে পড়েছে, যথেষ্ট। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মেয়েরা যখন এগিয়ে এসেছে আর কারওর প্রয়োজন নেই! ছেলেরা যদি মনে করেন বাড়িতে বসে থাকবে, থাকুক। কিস্যু যায় আসে না। শিল্পীরা থাকলেও না থাকলেও কি! মেয়েরাই যথেষ্ট। একই একশো। আর কাউকে লাগবে না। যা করছেন, ঠিক করছেন! বেশ করছেন!"
কথাশেষে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে শিল্পীর একটি অনুরোধ রাখলেন -" ওঁরা যা করছেন একদম ঠিক। শুধু একটাই অনুরোধ কোনওরকম প্ররোচনায় যেন ওঁরা পা না দেন। প্ররোচনামূলক কোনও কিছু যেন এই বিষয়টিকে গুলিয়ে না ফেলেন।
অন্যদিকে, আরজি কর-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আরজি কর-কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একের পর এক নয়া মোড়। মঙ্গলবার একসঙ্গে আরজি কর কাণ্ডে দায়ের হওয়া পাঁচটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়।
শিলাজিতের কথায়, "আরজি করের ঘটনাকে নিন্দা জানানোর ভাষা অন্তত আমি খুঁজে পাচ্ছি না। যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন যে কেন রাতে একা সেমিনার রুমে গেল সে...এসব কথাকে পাত্তা দেওয়াই উচিত নয়। শিল্পী হিসাবে কী মানুষ হিসাবেই শিউরে উঠেছি। অপরাধকে কোনওদিনই সমাজ থেকে পুরোপুরি মিটিয়ে ফেলা যাবে না, যায় না। তবে যেটা আমার ভয়ের লাগছে তা হল যারা অপরাধী তারা নির্ভীকভাবে কথা বলছে! বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েকটি ঘটনায় দেখা যাচ্ছে অপরাধীদেরই দাপট সাংঘাতিক। এটা কীভাবে সম্ভব হচ্ছে! নিশ্চয়ই তাদের প্রশ্রয় দেওয়ায় হচ্ছে নইলে অপরাধ করে বুক ফুলিয়ে ঘুরছে কী করে তারা? আর অত্যাচার তো পুরুষদের উপরেও হচ্ছে। পুরুষদের মানসিক ধর্ষণ করা হয় না?"
আরও বলেন, "রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সরকারের উচিত যে অপরাধীগুলো গোকুলে বাড়ছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিক। কড়া বার্তা তাদের দেওয়া উচিত। এটা ভীষণ জরুরি। কে দিচ্ছে ওদের সাহস? কে দিচ্ছে ওদের প্রশ্রয়? এসব দেখেই তো দৃষ্টান্ত তৈরি হয়। আর একটা কথা, কেন সব বিষয়ে প্রথমে রাজনৈতিক নেতারা মতামত জানান? তখনই তো কোনও ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগে। বিভক্তি হতে শুরু হয়..."
উল্লেখ্য, ১৪ অগস্টের রাত জেগে থাকবে সারা বাংলা, রাস্তায়। তেমনই ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। গোটা দেশের নজর এখন সেই রাতের দিকে। বুধবার মধ্যরাতে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি। সেই বিষয়ে শিলাজিৎ বলেন, "অবশ্যই চেষ্টা করব যাদবপুরের জমায়েত-এ হাজির হতে। তবে বিষয়টি হল এই আন্দোলন নারীরা ডেকেছেন, মানুষ ডেকেছেন। এত মানুষ সমর্থন করছেন সেখানে আমি কে? জোর গলায় বলতে চাই, মেয়েরা যেখানে এগিয়ে এসেছে, দাঁড়িয়ে পড়েছে, যথেষ্ট। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মেয়েরা যখন এগিয়ে এসেছে আর কারওর প্রয়োজন নেই! ছেলেরা যদি মনে করেন বাড়িতে বসে থাকবে, থাকুক। কিস্যু যায় আসে না। শিল্পীরা থাকলেও না থাকলেও কি! মেয়েরাই যথেষ্ট। একই একশো। আর কাউকে লাগবে না। যা করছেন, ঠিক করছেন! বেশ করছেন!"
কথাশেষে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে শিল্পীর একটি অনুরোধ রাখলেন -" ওঁরা যা করছেন একদম ঠিক। শুধু একটাই অনুরোধ কোনওরকম প্ররোচনায় যেন ওঁরা পা না দেন। প্ররোচনামূলক কোনও কিছু যেন এই বিষয়টিকে গুলিয়ে না ফেলেন।
অন্যদিকে, আরজি কর-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আরজি কর-কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একের পর এক নয়া মোড়। মঙ্গলবার একসঙ্গে আরজি কর কাণ্ডে দায়ের হওয়া পাঁচটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়।
