আজকাল ওয়েবডেস্ক: জোড়া সোনা জিতে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে পারলেন না নীরজ চোপড়া। প্যারিস অলিম্পিকে রুপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল টোকিওর সোনাজয়ীকে। অলিম্পিক রেকর্ড করে সোনা ছিনিয়ে নেন আরশাদ নাদিম। তারপরও ভারতের প্রথম ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলিট হিসেবে পরপর দুটো অলিম্পিকে পদক জেতার রেকর্ড করলেন নীরজ। দ্বিতীয় থ্রোয়ে বিশাল ৯২.৯৭ মিটার বর্শা ছোড়েন পাকিস্তানের জ্যাভলিন থ্রোয়ার। যা কোনওভাবেই ছোঁয়া সম্ভব ছিল না নীরজ এবং বাকি প্রতিযোগীদের পক্ষে। ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ার এখনও পর্যন্ত কোনওদিন ৯০ মিটারের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। সুতরাং দ্বিতীয় থ্রোতেই সোনা নিশ্চিত করে ফেলেন আরশাদ। যার ফলে চাপে পড়ে যান নীরজ। ছ'টির মধ্যে তাঁর পাঁচটি থ্রো বাতিল হয়ে যায়। মাত্র একবার সফল প্রচেষ্টা। দ্বিতীয় রাউন্ডে ৮৯.৪৫ মিটার ছোড়েন নীরজ। যা তাঁকে রুপো এনে দেয়। সোনা হাতছাড়া হওয়ার পর নীরজ জানান, এদিন ভগবানের আশীর্বাদ আরশাদের ওপর বেশি ছিল। 

একটি সাক্ষাৎকারে নীরজ বলেন, 'ও দারুণ থ্রো করেছে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে কখনও দিনটা তোমার হয়, কখনও বাকিদের। হয়তো এদিন ভগবানের আশীর্বাদ ওর ওপর বেশি ছিল। আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি নিজের থ্রোয়ে খুশি।' কোয়ালিফায়ারের দূরত্ব টপকে মরশুমের সেরা থ্রো করেন নীরজ। কিন্তু সেটা সোনা জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। পদক জিতে সন্তুষ্ট। পরের বার আবার সোনার লক্ষ্য নামবেন নীরজ। তবে আপাতত দেশে ফিরে বাড়ির রান্না উপভোগ করতে চান। নীরজ বলেন, 'আমি দীর্ঘ বছর ধরে খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত থাকায়, আলাদা করে কোনও কিছু খাওয়ার ইচ্ছে করে না। তবে আমি যেহেতু বাড়ি ফিরব, বাড়ির রান্না খাওয়ার সুযোগ পাব। এখানে সবাই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। দেশের হয়ে পদক জেতায় আমি খুশি। যা আমি করতে পারিনি, পরের বার করার চেষ্টা করব।'

টোকিও অলিম্পিকে স্টেডিয়াম মূলত ফাঁকা থাকত। কিন্তু প্যারিসে সমর্থন উপভোগ করেন নীরজ। এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে ভরা স্টেডিয়ামে নামতে পছন্দ করি। টোকিওতে স্টেডিয়ামগুলো ফাঁকা থাকত। কিন্তু এখানে লোকজন ছিল। আমি সমর্থকদের চাপ উপভোগ করি । ওরাই আমার সেরাটা বের করে নেয়। ফাইনালে নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল। তবে হয়তো এবার আমার ভাগ্যে রুপো ছিল।' ভারতীয়দের মধ্যে একমাত্র সুশীল কুমার এবং পিভি সিন্ধু পরপর দুই অলিম্পিকে পদক পেয়েছেন। এবার সেই তালিকায় নাম তুললেন নীরজ।