মিল্টন সেন, হুগলি : আলুর চাষ শুরুর আগেই সার নিয়ে কালোবাজারির রুখতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামল জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। শুক্রবার হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় সারের দোকানগুলিতে গিয়ে কালোবাজারি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। আলু চাষের মরসুম শুরু হয়েছে হুগলিতে। এই সময়ে আলু চাষে পরিমান অনুযায়ী নাইট্রোজেন ফসফেট ও পটাস এনপিকে সার ব্যবহার হয়। সাধারণত এনপিকে সারের দাম ১৪৭০ টাকা। সেই সার কালোবাজারি বিকোচ্ছে ১৮০০-২০০০ টাকায়। এমন অভিযোগ শুনতে পেয়ে শুক্রবার অভিযানে নামে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। বলরামবাটির একটি হোলসেল সারের গোডাউনে সারের মজুত তালিকা, ক্রয় বিক্রয় হিসাব মিলিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। ছিলেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ইবি নিমাই চৌধুরী, ইবি ইন্সপেক্টর সমর দাস, ওসি সিঙ্গুর জয়ন্ত পাল। ডিসএপি নিমাই চৌধুরী বলেন, সারের কালোবাজারি নিয়ে আমরা এখনও নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ পাইনি। এই সময় হুগলিতে আলু চাষ হয়। তাই সারের চাহিদা থাকে। সারের কালোবাজারি যাতে না হয় তার জন্য আগে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। স্টক মেলানো থেকে কত দামে কেনা আর বিক্রি তা দেখা হচ্ছে। আমরা চাষীদের সঙ্গেও কথা বলছি। যদি কেউ বেশি দাম নেয় তাহলে বলছি অভিযোগ করতে। অভিযোগ পেলে বা হিসাবে গরমিল দেখতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোটা জেলাজুড়েই এই অভিযান চলবে।
