আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভিনেশ ফোগাতের অলিম্পিক থেকে ছিটকে যাওয়া নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড়। কয়েকঘন্টার মধ্যে কীভাবে এতটা ওজন বেড়ে গেল সেই নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠছে। এবার সরাসরি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ‌ তুলে দিলেন কংগ্রেসের সাংসদ রণদীপ সূর্যেওয়ালা। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এই মারাত্মক অভিযোগ তোলেন তিনি। একইসঙ্গে ভারতের ক্রীড়া ইতিহাসে এই দিনটিকে 'কালো দিন' বলে উল্লেখ করেন। ফের উঠে আগে ব্রিজভূষণ ঘটনা। ভিনেশের অলিম্পিক থেকে ছিটকে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার মতবিরোধ রাজনৈতিক দুই পার্টির। রণদীপ সূর্যেওয়ালা লেখেন, '১৪০ কোটি ভারতীয় হতবাক। এটা বিশাল ষড়যন্ত্র। তবে গোটা দেশ ওর সঙ্গে আছে।' বিজেপির ছ'বারের সাংসদ ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে 'মি টু' ঘটনার উল্লেখও করেন। তিনি আরও লেখেন, 'প্রথমে তৎকালীন রেস্টলিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজেপির সাংসদ ব্রিজভূষণ সিং দেশের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মেয়েকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে। দেশের মেয়েকে বিজেপির লোকজন দিল্লির যন্তরমন্তরের রাস্তায় পুলিশকে দিয়ে হেনস্থা করায়। তারপর মোদি সরকার তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। এই মেয়েটির বিশ্ব জয় করার ক্ষমতা ছিল। কিন্তু আমাদের দেশের সিস্টেমের কাছে হেরে গেল।' এই টুইটে কয়েকটা প্রশ্নও তুলে দেন কংগ্রেসের সাংসদ। প্রশ্ন করেন, 'ভিনেশের এই সাফল্য কার হজম হচ্ছিল না?' অন্তর্ঘাতের প্রশ্নও তোলেন। এই টুইটের জবাব দেন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। তবে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করেননি তাঁরা। 

ভিনেশের এই ঘটনাকে প্রথমেই ষড়যন্ত্রের তকমা দেন বিজেন্দ্র সিং। প্রাক্তন বক্সিং চ্যাম্পিয়ন জানান, যারা ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য সহ্য করতে পারেন না, এটা তাঁদেরই ষড়যন্ত্র। বিজেন্দ্র বলেন, 'আমার ধারণা এটা অন্তর্ঘাত। মাত্র ১০০ গ্রাম! ইয়ার্কি হচ্ছে নাকি! অ্যাথলিটরা এক রাতে পাঁচ-ছয় কেজি কমিয়ে ফেলতে পারে। সেখানে ১০০ গ্রামের জন্য আটকে গেল! এটা কঠিন হলেও, আমরা জানি খিদে কীভাবে কন্ট্রোল করতে হয়। অন্তর্ঘাত বলার কারণ, অনেকেই ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য দেখতে পছন্দ করে না। এই মেয়েটা এতো কিছুর মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ওর জন্য হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।' ভিনেশের হয়ে আবেদন করেছে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। তবে তাতে সিদ্ধান্ত বদল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।