মিল্টন সেন, হুগলি: ফুটপাথ দখল মুক্ত করতে উদ্যোগী চন্দননগর পুরনিগম। ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়। উচ্ছেদে ভাঙ্গা পড়ল একাধিক বেআইনি দোকান। সোমবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান চলল চন্দননগর উর্দি বাজার এলাকায়। উচ্ছেদ অভিযানে অন্যান্য দোকানপাটের সঙ্গে ভাঙ্গা পড়ল তৃণমূলের পার্টি অফিস।

দিন কয়েক আগেই পুরনিগমের তরফে আগাম নোটিশ দিয়ে ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নোটিশে নির্ধারিত দিনের মধ্যে ব্যবসায়ীদের তাঁদের দোকান সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। নোটিশ অনুযায়ী এদিন ছিল শেষ দিন। চন্দননগর পুরনিগমের এগারো নম্বর ওয়ার্ডের উর্দিবাজার হল লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার থেকে চন্দননগর স্ট্যান্ড রোড যাওয়ার রাস্তা। দীর্ঘ সময় ধরেই উর্দি বাজার এলাকার রাস্তার দুই পাশে ফুটপাথ দখল হয়েছিল। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নির্দেশ দেন, ফুটপাথ দখল মুক্ত করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলার পর চন্দননগর কর্পোরেশনে জবর দখল হঠাতে বৈঠক হয়।

শহরের কোথায় কোথায় ফুটপাথ দখল হয়ে আছে তার সমীক্ষা হয় পুরনিগমের তরফে। এদিন পুলিশ এবং পুরনিগমের আধিকারিকদের শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। ভাঙা হয় একাধিক দোকান। এই প্রসঙ্গে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা ২ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান মহম্মদ সামাদ আলি বলেছেন, দিদির নির্দেশ পাওয়ার পর ফুটপাত দখল মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি পার্টি অফিস ছিল। সেটাকেও ভেঙে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক দোকান রয়েছে, সেই দোকান গুলির সামনের অংশ ফুটপাতের উপর চলে এসেছিল। মূলত সেগুলোকেই সরানো হয়েছে।
ছবি: পার্থ রাহা