আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তাল হচ্ছে বাংলাদেশ জুড়ে। গোটা দেশ জুড়ে কারফিউ জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। শুক্রবার রাতে বাংলাদেশের গণভবনে ১৪ দলের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকের শেষে আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই, সরকারি আদেশ জারি হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, দেশের যে সমস্ত জায়গায় বিক্ষোভের আঁচ বেশি সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা নামানো হবে।









এই পরিস্থিতিতে ওপার বাংলায় আটকে পড়েছেন প্রায় ৪০০০ পড়ুয়া। দেশে ফিরতে চাইলেও ফিরতে পারছেন না তাঁরা। যান চলাচল বন্ধ, টেলিকম ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না কেউই। সমানে তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিদেশমন্ত্রক। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭৭৮ জন পড়ুয়া দেশে ফিরেছেন। যে যেভাবে পেরেছেন কার্যত পালিয়ে এসেছেন বাংলাদেশ থেকে।







ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক বর্ডার দিয়ে আসছেন পড়ুয়ারা। পাশাপাশি, বর্তমানে যেসব বাংলাদেশী ভারতে রয়েছেন তাঁরাও ফিরতে পারছেন না দেশে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে সমানে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে আটকে পড়া পড়ুয়াদের সঙ্গে। ত্রিপুরার আগরতলার কাছে আখুড়া ও মেঘালয়ের ডাউকি দিয়ে ভারতে ফিরছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের মধ্যে কেউ উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা, কেউ হরিয়ানা বা কাশ্মীরের।











এই পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশে ডাক্তারি পড়ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গত সোমবার থেকেই আন্দোলন ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছিল। একের পর এক মৃত্যুর খবর আসছিল। সম্প্রতি সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পড়ুয়ারা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। তাই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন অনেকেই।