আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। সময় পেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে অন্য আকার ধারণ করছে অশান্তি। গত কয়েকদিনে ছাত্র আন্দোলন, বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, পাল্টা সংঘর্ষে দেশ জুড়ে অগ্নিগর্ভ অবস্থা। সে দেশের স্কুল, কলেজ, ট্রেন এমনকি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। তার মাঝেও ওপার বাংলার সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের পর শুক্তবারও দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি।


শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা হামলা চালায় নরসিংদীর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা পরিষদ এবং জেলা কারাগারে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে অর্থাৎ হামলা চালানোর সময় অন্তত এক হাজারের বেশি বন্দি ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের হামলার পর কারাগারের নিয়ন্ত্রণ কারারক্ষীদের হাতের বাইরে চলে গেলে অন্তত কয়েকশ বন্দি জেলার বাইরে বেরিয়ে গিয়েছেন বলে খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের। অন্যদিকে এদিন বিক্ষোভকারীরা ঢাকার রামপুরা থানা ঘেরাও করে বলেও জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে শুক্রবার দুপুরে মোহম্মদপুর টাউনহল এবং বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভকারীরা দুটি দমকলের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মিরপুরের বিআরটি ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। গুলশান, বাড্ডা লিংক রোড, নতুনবাজারেও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ইতিমধ্যে বাংলদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। বাংলদেশে সংবাদ মাধ্যমের মতে, রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকলে আন্দোলন, বিক্ষোভ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় লাগাম দেওয়া যাবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশের রাজধানীতে মিছিল, বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে, জননিরাপত্তার স্বার্থে শনিবার থেকে সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা।