Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৮ জুলাই ২০২৪ ২২ : ৪৮Rahul Majumder

সংবাদ সংস্থা মুম্বই: দক্ষিণী তারকা কমল হাসনের সঙ্গে বহুদিনের পরিচয় নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর। যখন নওয়াজ খুচরো অভিনেতা হিসাবে বলিপাড়ায় টুকটাক ঘোরাঘুরি করছেন, সেই তখন থেকেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে 'স্যাক্রেড গেমস'খ্যাত এই অভিনেতা স্পষ্টভাবে জানালেন অভিনেতা হিসাবে কমল হাসনকে অপরিসীম শ্রদ্ধা করেন। কেন করেন? জানালেন সে কথাও। পাশাপাশি, ফাঁস করলেন একবার কমল হাসন তাঁকে একটি কাজ করতে বলেছিলেন, শেষমেশ তা করে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিলেন নওয়াজ।

নওয়াজউদ্দিনের কথায়," কমল হাসনকে আমি অসম্ভব শ্রদ্ধা করি। বলার অপেক্ষা রাখে না কতটা উঁচু মানের একজন শিল্পী তিনি। কমল সাহাবের 'অভয়' ছবির আগে তাঁকে সঠিকভাবে হিন্দি উচ্চারণ শেখানোর ভার আমার উপর ছিল। সেটা ২০০১ সাল। হাতে তখন কাজটাজ কিছু থাকত না আমার। এককথায় প্রায় বেকার বলা যায়। সেই সময় এইসব টুকটাক কাজ করেই অর্থ উপার্জন করতাম। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার আমার একজন সিনিয়র সেই সময় আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন দক্ষিণী অভিনেতাদের সঠিক হিন্দি উচ্চারণ শেখানোর কাজ করব কি না? প্রস্তাব পেয়েই এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। এই ভাবেই কমল হাসনের সঙ্গে কাজের সুযোগ হয়েছিল"।

শুধু তাই নয়, 'হে রাম' ছবিতেও কমল হাসনের সঙ্গে একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন নওয়াজ।‌ কিন্তু শেষপর্যন্ত ছবি থেকে সেই দৃশ্য বাদ দিয়ে দেন কমল! সেই প্রসঙ্গে 'গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর'-এর এই অভিনেতা বলেন, "ছবির শুটিংয়ে কমল'জীকে তুঘলকের সেই লম্বা সংলাপটা নির্ভুলভাবে শুনিয়েছিলাম। শোনার পর উনি আমাকে বলেছিলেন এই সংলাপটাই দশ রকমভাবে বলে শোনাতে। পারিনি। ওঁকে জানিয়ে দিয়েছিলাম, বড়জোর তিন-চার রকম করে উচ্চারণ করে দেখাতে পারব। এর বেশি আমার পক্ষে সম্ভব নয়। উনি কিন্তু করে দেখিয়েছিলেন। দুর্ধর্ষ অভিনেতা! আসলে, উনি তো একজন দুরন্ত নৃত্যশিল্পীও বটে। শরীরের প্রতিটি পেশী চালনায় ওঁর অসম্ভব দখল..."

এখানেই থামেননি নওয়াজ।‌ কথা শেষ করেন 'হে রাম' ছবি থেকে তাঁর বাদ পড়ে যাওয়ার দৃশ্যটি নিয়ে-"ওরকম সাংঘাতিক কোনও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিল না আমার। ছবিতে দেখানো হতো, উন্মত্ত জনতার হাত থেকে আমাকে রক্ষা করেন কমল। তো সেই দৃশ্যের শুটিং করে খুব খুশি হয়েছিলাম এই ভেবে যে কমল হাসনের সঙ্গে পর্দা ভাগ করতে পেরেছি। কিন্তু শেষমেষ যখন ছবি থেকে সেই দৃশ্যটি খেটে ফেলা হলো তা জানতে পেরে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেছিলাম। আমাকে সান্তনা দিতে এগিয়ে এসেছিলেন ওঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা শ্রুতি হাসন। তবে সেই ব্যপারে কিন্তু কমল'জীর প্রতি আমার কোনও তিক্ত মনোভাব নেই"।