বুধবার সকালে বড়বহেড়া এলাকায় দেখা যায় ভ্যানে করে বাইরে থেকে মাটি এনে পুকুর ভরাটের কাজ চলছে।যা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ দাস বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকে পুকুর দেখে আসছেন। কিছুদিন ধরে উৎপাত শুরু হয়েছে। সুযোগ বুঝে মাঝে মধ্যেই সবার অলক্ষ্যে মাটি এনে পুকুরটা ভরাট করার কাজ চালাচ্ছে জমির মালিক। বঙ্কিম বাবু আবার কোনও কথাই শোনেন না। আগেও একবার পঞ্চায়েত থেকে লোক এসে ভরাট করার কাজ বন্ধ করেছিল। এদিন আবার অনেকগুলো ভ্যানে করে মাটি এনে পুকুরে ফেলেছে। অভিজিৎ মনে করেন অবিলম্বে প্রশাসনের করা ব্যাবস্থা নেওয়া দরকার।
পুকুরের মালিক বঙ্কিম দাসের পাল্টা যুক্তি ওটা নাকি পুকুর নয়, বাস্তু জমি। জলা হয়ে আছে তাই তিনি এটা ভরাট করছেন। আর তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান থেকে সব প্রশাসনিক জায়গায় জানিয়েই এই ভরাট করার কাজ করছেন। যদিও জলা জমি ভরাট করাও বেআইনি, এই প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে চাননি। এই প্রসঙ্গে কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভবেশ ঘোস বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ আছে কোথাও কোনও পুকুর বা জলা জমি ভরাট করা যাবে না। তাই বড়বহেড়া এলাকায় পুকুর ভরাট হওয়ার খবর পেয়েই কাজ বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর মালিককে দেখা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু জমির মালিক দেখা করেননি। পুকুর ভরাটকে কোনও ভাবেই সমর্থন করা হবে না।
ছবি পার্থ রাহা।
