আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে, পুনে, মহারাষ্ট্র সহ অনেক জায়গাতেই জিকা ভাইরাস উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাথমিকভাবে, এডিস মশার কামড়ে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা এই সংক্রমণের শিকার হতে পারেন সহজেই। এর থেকে সাবধান থাকবেন কীভাবে?
 
জিকা জ্বর কী?
ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার মতো অন্যান্য মশাবাহিত অসুস্থতার মধ্যে জিকাও একটি। এর সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, ফুসকুড়ি, জয়েন্টে ব্যথা এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়া (কনজাংটিভাইটিস)। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হালকা অসুস্থতা দেখা দেয়। ভাইরাসটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করে গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে। এটি শিশুদের মধ্যে মাইক্রোসেফালি এবং অন্যান্য স্নায়বিক জটিলতার মতো জন্মগত ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে। সম্প্রতি সেরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে পুনেতে। যা মা ও ভ্রূণের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে। জিকা ভাইরাস প্রাথমিকভাবে এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। যা দিনের বেলায় সক্রিয় থাকে। সংক্রামিত ব্যক্তির যৌন মিলনের ফলে এটি সংক্রামিত হতে পারে সঙ্গীর মধ্যে। জিকা জ্বরের লক্ষণগুলি সাধারণত সংক্রামিত মশা কামড়ানোর ৩ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে দেখা দেয়।
 
প্রতিরোধ করবেন কীভাবে?
১. জিকা ভাইরাস সংক্রমণ হলে যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলুন।
২. বাড়িতে পোকামাকড় প্রতিরোধক ব্যবহার করুন। লম্বা-হাতা শার্ট এবং প্যান্ট পরুন। জানালা এবং দরজায় পর্দা নিশ্চিত করুন, যাতে মশা ঢুকতে না পারে।
৩. মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করতে বাড়ির চারপাশের পাত্রে পাত্রে জমে থাকা জল সরান
৪. পরিস্থিতি জটিল হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলুন। গর্ভবতী মহিলাদের, অতিরিক্ত সতর্কতা মেনে চলা উচিত।