আজকাল ওয়েবডেস্ক: বড়সড় কিডনি পাচার চক্রের হদিশ পেল দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭ জনকে। বাংলাদেশ থেকে এই পাচারচক্র কাজ করত বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলা চিকিৎসকও রয়েছে বলেই জানিয়েছে দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ।


উত্তর প্রদেশের নয়ডার একটি হাসপাতালে এই চিকিৎসক ১৬ জন রোগীর দেহের অপারেশনও করেছেন। যে পাচারচক্র কাজ করছে তারা বাংলাদেশ এবং রাজস্থানেও রয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে রাজস্থান পুলিশও।


এবিষয়ে দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমিত গোয়েল জানান, দিল্লির সরিতা বিহার হাসপাতালে কাজ করত ওই মহিলা। বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করা এক চিকিৎসকও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছ বলেই খবর। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে গোটা অপারেশনটাই বাংলাদেশ থেকে নিজেদের কাজ করছে।


বাংলাদেশ থেকে রোগীরা ভারতে এসে কিডনির চিকিৎসা করাচ্ছেন। এজন্য তাঁদেরকে প্রচুর টাকাও খরচ করতে হচ্ছে। যাদের দেহ থেকে কিডনি নেওয়া হচ্ছে তাঁদেরকে টাকা ছাড়াও চাকরির অফারও দেওয়া হচ্ছে। আবার অনেকক্ষেত্রে রোগীকে জোর করে বা ভয় দেখিয়েও কিডনি নেওয়া হচ্ছে।


যে হাসপাতালে ওই মহিলা চিকিৎসক কাজ করতেন তাঁকে সাসপেন্ড করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার সঙ্গে আর কাজা জড়িয়ে রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ।