আজকাল ওয়েবডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপে টানা পাঁচ জয়। বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ভারত। শনিবার অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ৫০ রানে জিতলেন রোহিতরা। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই শেষ চারে টিম ইন্ডিয়া। সোমবার অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ শুধুই নিয়মরক্ষার। তবে তার ওপর টেবিলের পজিশন নির্ভর করবে। জয়ের অভ্যাস ধরে রাখতে চাইবেন রোহিতরা। শনিবার প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান তোলে ভারত। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে থামে বাংলাদেশ। ম্যাচের সেরা হার্দিক পাণ্ডিয়া। ব্যাট হাতে অর্ধশতরানের পর এক উইকেটও তুলে নেন। একবার বাংলাদেশের কাছে হেরে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গিয়েছিল ভারত। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। এবার কোচের হটসিটে তিনি। কিন্তু তার পুনরাবৃত্তি ঘটেনি। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করলেও, ভারতীয় শিবিরে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙেন হার্দিক। পরপর তিন উইকেট তুলে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন কুলদীপ যাদব। আরও একবার অনবদ্য যশপ্রীত বুমরা। দাপুটে জয় ভারতের।
প্রথম চার ম্যাচের তুলনায় এদিন ভারতীয় ব্যাটারদের মানসিকতায় আকাশ-পাতাল পার্থক্য ছিল। আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে নামে প্রত্যেকেই। প্রথম থেকেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে। রোহিত শর্মাকে আমরা শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক মেজাজে দেখে অভ্যস্ত, কিন্তু বিরাট কোহলি! নামার পরপরই ছক্কা হাঁকান। ইনিংসে মোট তিনটে ছয়। চারের সংখ্যা এক। যা সচরাচর উল্টো হয়। ভাল খেলছিলেন। কিন্তু তানজিম হাসান সাকিবকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে বড় শট মারতে গিয়ে ২৮ বলে ৩৭ রানে বোল্ড হন কোহলি। তার আগেই ফিরে যান রোহিত। ১টি ছয়, ৩টি চারের সাহায্যে ১১ বলে ২৩ রান করেন। একমাত্র সূর্যকুমার যাদব (৬) ছাড়া ভারতের প্রত্যেক ব্যাটারই রান পায়। ছয় মেরে শুরু করার পর দ্বিতীয় বলেই উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন। একই ওভারে মাত্র এক বলের ব্যবধানে বিরাট এবং সূর্যকে ফিরিয়ে ক্ষণিকের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন তানজিম। তবে ঋষভ পন্থ, হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং শিবম দুবে দলকে সেই জায়গা থেকে বের করে বড় রানে পৌঁছে দেন। ২৪ বলে ৩৬ রান করেন পন্থ। আবার রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে আউট হন। নিজের দায়িত্ব পালন করেন দুবে। ৩টে ছয়ের সাহায্যে ২৪ বলে ৩৪ রান করেন। তবে সর্বোচ্চ রান হার্দিকের।
চলতি বিশ্বকাপে প্রথম অর্ধশতরান। ইনিংসের শেষ বলে ৫০ করেন। ৩টি ছয়, ৪টি চারের সাহায্যে ২৭ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন ভারতের সহ অধিনায়ক। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করলেও নিয়মিত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কুলদীপের স্পিনে ধরাশায়ী। ১৯ রানে তিন উইকেট তুলে নেন ভারতীয় স্পিনার। আবারও অনবদ্য যশপ্রীত বুমরা। ১৩ রানে জোড়া উইকেট পান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান নাজমল হোসেন শান্তর। ৩২ বলে ৪০ রান করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। রান পান তানজিদ হাসান (২৯) এবং রিশাদ হোসেন (২৪)। তবে ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেনি। আরও একটি একতরফা ম্যাচে জয় রোহিতদের।