রিয়া পাত্র
শ্বেত শুভ্র প্রাসাদ, ওপরে ঝাড়বাতি, শুভ্র সিংহাসনে কালী প্রতিমা। কথা হচ্ছে ৪৬,মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটের মার্বেল প্যালেস নিয়ে। প্যালেসের পুজো নিয়ে কথা বলা গেল ব্রতীন্দ্র মল্লিকের সঙ্গে। তিনি জানালেন, এই পুজো শুরু করেন রাজা রাজেন্দ্র মল্লিক। মার্বেল প্যালেস বলে পরিচিত এই প্রাসাদ বাড়ি তিনি তৈরি করেন ১৮৩৫ সালে। ১৮৪০ সালে সেখানে শুরু হয় কালীপুজো। জানা যায় রাজা রাজেন্দ্র মল্লিক শক্তির পুজো হিসেবে শুরু করেছিলেন এই কালীপুজো। সময়ের সঙ্গে চারপাশের বহু কিছু বদলে গেলেও এই বনেদি বাড়ি তাদের পুজর ধারা, রীতি-নীতি একই রেখেছে। প্রতিমা তৈরি হয় বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরেই। কুমোরটুলি থেকে মৃৎশিল্পীরা বংশ পরম্পরায় আসেন প্রতিমা তৈরির জন্য। কালীপুজোর দিন মন্দির থেকে মূর্তি নিয়ে যাওয়া হয় ঘরের ভেতরের দালানে। সেখানে যত্ন করে সাজানো হয় প্রতিমা। ব্রতীন্দ্র মল্লিক জানালেন, ‘শুধু প্রতিমা তৈরি নয়, প্রতিমা সাজান যাঁরা তাঁরাও বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে চলেছেন।‘ কালীপুজোয় নিয়ম মেনেই উপোস করেন বাড়ির সদস্যরা। উপোসী কোনো মহিলা ধুনো পোড়ান। পুজোয় দেওয়া হয় লুচি, নানা রকমের মিষ্টান্ন, চন্দনীক্ষীর।
এঁদের অন্য শরিক পাথুরিয়াঘাটার বৈষ্ণবদাস মল্লিকের বাড়িতে কালী পুজো হয়ে আসছে প্রায় ৩০০ বছর ধরে। বাড়ির গৃহিণী মঞ্জু মল্লিক জানালেন, ‘এই বাড়ির পুজো শুরু করেছিলেন বৈষ্ণব দাস মল্লিক। তখন থেকে এখনও পর্যন্ত পুরনো ধারা বজায় রেখে মল্লিক বাড়িতে আরাধনা হচ্ছে কালীর। মল্লিক বাড়িতে পূজিতা হন দক্ষিণাকালী। গায়ের রঙ ডেলা নীল। বৈষ্ণব মতে পুজো হওয়ায় হয় না কোনও বলি। আগে বাড়ির দালানে পুজো হলেও এখন প্রতিমা অর্ডার দিয়ে বানিয়ে আনা হয় বাইরে থেকেই। মঞ্জু মল্লিক জানালেন, ‘এটুকু পরিবর্তন ছাড়া এত বছরে পুজোয় আর কোনও পরিবর্তন আসেনি।‘ দুই মল্লিক বাড়ির কালীই সেজে ওঠেন ডাকের সাজে।
শ্বেত শুভ্র প্রাসাদ, ওপরে ঝাড়বাতি, শুভ্র সিংহাসনে কালী প্রতিমা। কথা হচ্ছে ৪৬,মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটের মার্বেল প্যালেস নিয়ে। প্যালেসের পুজো নিয়ে কথা বলা গেল ব্রতীন্দ্র মল্লিকের সঙ্গে। তিনি জানালেন, এই পুজো শুরু করেন রাজা রাজেন্দ্র মল্লিক। মার্বেল প্যালেস বলে পরিচিত এই প্রাসাদ বাড়ি তিনি তৈরি করেন ১৮৩৫ সালে। ১৮৪০ সালে সেখানে শুরু হয় কালীপুজো। জানা যায় রাজা রাজেন্দ্র মল্লিক শক্তির পুজো হিসেবে শুরু করেছিলেন এই কালীপুজো। সময়ের সঙ্গে চারপাশের বহু কিছু বদলে গেলেও এই বনেদি বাড়ি তাদের পুজর ধারা, রীতি-নীতি একই রেখেছে। প্রতিমা তৈরি হয় বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরেই। কুমোরটুলি থেকে মৃৎশিল্পীরা বংশ পরম্পরায় আসেন প্রতিমা তৈরির জন্য। কালীপুজোর দিন মন্দির থেকে মূর্তি নিয়ে যাওয়া হয় ঘরের ভেতরের দালানে। সেখানে যত্ন করে সাজানো হয় প্রতিমা। ব্রতীন্দ্র মল্লিক জানালেন, ‘শুধু প্রতিমা তৈরি নয়, প্রতিমা সাজান যাঁরা তাঁরাও বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে চলেছেন।‘ কালীপুজোয় নিয়ম মেনেই উপোস করেন বাড়ির সদস্যরা। উপোসী কোনো মহিলা ধুনো পোড়ান। পুজোয় দেওয়া হয় লুচি, নানা রকমের মিষ্টান্ন, চন্দনীক্ষীর।
এঁদের অন্য শরিক পাথুরিয়াঘাটার বৈষ্ণবদাস মল্লিকের বাড়িতে কালী পুজো হয়ে আসছে প্রায় ৩০০ বছর ধরে। বাড়ির গৃহিণী মঞ্জু মল্লিক জানালেন, ‘এই বাড়ির পুজো শুরু করেছিলেন বৈষ্ণব দাস মল্লিক। তখন থেকে এখনও পর্যন্ত পুরনো ধারা বজায় রেখে মল্লিক বাড়িতে আরাধনা হচ্ছে কালীর। মল্লিক বাড়িতে পূজিতা হন দক্ষিণাকালী। গায়ের রঙ ডেলা নীল। বৈষ্ণব মতে পুজো হওয়ায় হয় না কোনও বলি। আগে বাড়ির দালানে পুজো হলেও এখন প্রতিমা অর্ডার দিয়ে বানিয়ে আনা হয় বাইরে থেকেই। মঞ্জু মল্লিক জানালেন, ‘এটুকু পরিবর্তন ছাড়া এত বছরে পুজোয় আর কোনও পরিবর্তন আসেনি।‘ দুই মল্লিক বাড়ির কালীই সেজে ওঠেন ডাকের সাজে।
