দীপাবলিতে বলিউডে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া। প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা আসরানি। দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পর সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে বুকে ব্যথার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বর্ষীয়ান শিল্পী। অবশেষে ৮৪ বছর বয়সে চলে গেলেন আসরানি।
2
8
একসময় কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গেছেন গোবর্দন আসরানি যিনি দর্শকের কাছে 'আসরানি' নামেই পরিচিত। পরিশ্রম, প্রতিভা, আর এক অবিশ্বাস্য সংগ্রামের মেলবন্ধনে জীবন কাটিয়েছেন কৌতুক অভিনেতা।
3
8
এক মধ্যবিত্ত সাধারণ পরিবারে জন্ম হয়েছিল আসরানির। অভিনেতার বাবা কার্পেট বিক্রি করতেন। সংসারে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। ছোটবেলা থেকেই আসরানির স্বপ্ন ছিল বড় পর্দায় নিজের জায়গা তৈরি করা। কিন্তু অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে তাঁকে একইসঙ্গে কাজ ও পড়াশোনা সামলাতে হয়।
4
8
আসরানি দিনের বেলায় পড়াশোনা করতেন, আর রাতে ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতেন বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও রেডিও প্রোগ্রামে। এর মধ্যেই তিনি নিজের অভিনয় প্রতিভা ঝালিয়ে নিতে শুরু করেন।
5
8
১৯৬০-এর দশকে আসরানি ভর্তি হন ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এফটিআইআই), পুনে-তে। সেখানে তাঁর সহপাঠী ছিলেন অভিনেতা জয়া ভাদুড়ি, শক্তি কপুর সহ প্রমুখ। তবে পড়াশোনা শেষে মুম্বইয়ে আসার পর তাঁর দিন কাটত সংগ্রামে। দিনের পর দিন হন্যে হয়ে ঘুরেও জোটেনি কোনও কাজ। এমনকী তাঁর ভাড়া দেওয়ার টাকাও জোগাড় হচ্ছিল না।
6
8
অভিনেতার কঠিন সময়েই এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটে। একদিন এক অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় ইন্দিরা গান্ধীর। আসরানি পরে এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি সাহস করে নিজের অবস্থার কথা বলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে । ইন্দিরা গান্ধী তাঁর কথায় মুগ্ধ হন এবং দ্রুত তাঁকে সাহায্য করার আশ্বাস দেন।
7
8
কিছুদিনের মধ্যেই সরকারি তথ্য ও সম্প্রচার দফতর থেকে ভয়েস ওভার আর্টিস্ট ও হিসেবে আসরানির জন্য একটি কাজের সুযোগ আসে। সেখান থেকেই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে যায়। প্রয়াত অভিনেতার কথায়,
8
8
এরপর ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন আসরানি। ধীরে ধীরে তাঁর হাস্যরসাত্মক অভিনয় মানুষকে মুগ্ধ করতে শুরু করে। তাঁর বিখ্যাত চরিত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় হল ‘শোলে’-এর জেলর, যার সংলাপ আজও দর্শক মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়। পরবর্তী সময়ে তিনি ‘চুপকে চুপকে’, ‘আব্দুল্লাহ’, ‘চালবাজ’, ‘আন্দাজ আপনা আপনা' সহ অসংখ্য হিট ছবিতে কাজ করেছেন।