রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Sumit | ২৩ মে ২০২৪ ২০ : ০৪Sumit Chakraborty
বীরেন ভট্টাচার্য, দিল্লি: ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিস্তারিত পরিসংখ্যান জানানোর দাবি উঠলেও তাতে কর্ণপাত করেনি নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে এডিআর। বুধবার সেই মামলায় হলফনামা দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১৭সি ফর্ম প্রকাশ করলে তার ছবি বিকৃত করা হতে পারে এবং তার ফলে জনমানসে বিভ্রান্তি তৈরি হবে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাসে আঘাত লাগবে। কমিশনের হলফনামায় এই দাবির বিরোধিতায় আজ সকাল থেকেই সরব বিরোধীরা। ভোটের বিস্তারিত পরিসংখ্যান প্রকাশ না করার জন্য কমিশন অযৌক্তিক অজুহাত দিচ্ছে বলে দাবি বিরোধীদের।
সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, "১৭সি ফর্ম প্রকাশ করা হলে তা নিয়ে নানন রকমের অপকর্ম হতে পারে এবং সমগ্র নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নানান সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই মূহুর্তে ১৭সি ফর্মের অরিজিনাল কপি রয়েছে স্ট্রং রুমে এবং তার কপি রয়েছে পোলিং এজেন্টেদের কাছে। সেখানে তাঁদের স্বাক্ষরও রয়েছে। ১৭সি ফর্ম জনসমক্ষে প্রকাশ করা বা ওয়েবসাইটে তোলা হলে তার ছবি বিকৃত করা হতে পারে, গণনার ফলাফল বিকৃত করা হতে পারে। যার ফলে জনমানসে অসুবিধা তৈরি হবে এবং সমগ্র নির্বাচন প্রক্রিয়া বিশ্বস্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।" কমিশনের আরও দাবি, ১৭সি ফর্ম দেওয়ার নিয়ম রয়েছে একমাত্র পোলিং এজেন্টকে। অন্য কাউকে এই ফর্ম দেওয়ার নিয়ম নেই। জনগণের জন্য এই ফর্ম প্রকাশ্যের কোনও নিয়ম নেই। নির্বাচন কমিশনের দাবি, যদি কেউ মনে করেন পরিসংখ্যানে কোনও সমস্যা রয়েছে বা অন্য কোনও অসমাঞ্জস্য রয়েছে তাহলে তিনি আবেদন করতে পারেন। যদিও সেসব কিছুই হয়নি বলে দাবি কমিশনের।
এদিকে, কমিশনের এই হলফনামার সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালের মতে, "ফর্ম ১৭সি একটি নির্দিষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি। সেখানে একটি বুথভিত্তিক ভোটদানের পরিসংখ্যান থাকে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর বিশ্বাস অক্ষুন্ন রাখতে স্বচ্ছতার প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের এইরকম জঘন্য অবস্থান মানুষের মধ্যে অস্বচ্ছতা এবং অবিশ্বাস তৈরি করছে। কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। কমিশন কী লুকাতে চাইছে? ভোটদানের হার নিয়ে যখন সন্দেহ, প্রশ্ন উঠছে, সেই সময় কেন নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে নির্বাচন কমিশন?" তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলের বক্তব্য, "খুবই উদ্বেগের বিষয় যে, সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যা বলছে নির্বাচন কমিশন। আগের সব নির্বাচনে ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের হ্যান্ডবুকে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিসংখ্যান উল্লেখ করতে হবে। এটা করতে সময় লাগে ৩ সেকেন্ড। কেন প্রকাশ্যে সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যা বলছে নির্বাচন কমিশন? কেন নির্লজ্জের মতো ভোটদানের হার গোপন রাখা হচ্ছে? কিছু একটা খারাপ হচ্ছে এবং তারসঙ্গে যুক্ত কমিশন।" আজ সাংবাদিক সম্মেলনে কপিল সিবল বলেন, "ফর্ম ১৭তে স্বাক্ষর করেন প্রিসাইডিং অফিসার এবং ভোট শেষ হলে তা দেওয়া হয় পোলিং এজেন্টকে। নির্বাচন কমিশনকেও সেই তথ্য পাঠানো হয়। কেন নির্বাচন কমিশন সেই তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করছে না? সমস্যা বা অস্বস্তি কোথায়? "