পুলিশের উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাণীনগর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মে লোকসভা নির্বাচনের দিন আমিরাবাদ এলাকার এক মহিলা তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ায় বাম-কংগ্রেস জোটের সমর্থকরা তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর ওই মহিলা রানীনগর থানায় এটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে রানীনগর থানার পুলিশ সেই ঘটনার তদন্ত করতে মরিচা-নিচুপাড়া গ্রামে যায়। কিন্তু সেই সময়ে পুলিশ দু"পক্ষের কথা না শুনে কেবলমাত্র বাম-কংগ্রেস সমর্থকদের কথা শুনছিল বলে অভিযোগ। এই কারণে ওই এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী গ্রামে আটকে থাকা পুলিশবাহিনীকে উদ্ধার করতে যায়। অভিযোগ সেই সময় কিছু তৃণমূল সমর্থক পুলিশের উপর হামলা চালায়। এরপর পুলিশ ওই গ্রামে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।
সলেমান আলী নামে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন," আমরা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছি বলে পুলিশ সম্পূর্ণ বিনা প্ররোচনায় আজ আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। " তিনি অভিযোগ করেন, " দুপুরে আমরা যখন বাড়িতে শুয়ে ছিলাম তখন পুলিশের একটি দল এসে আমাদেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করতে থাকে।"
কিছু গ্রামবাসীর অভিযোগ," পুলিশ আমাদের সঙ্গে আতঙ্কবাদীদের মতো আচরণ করেছে। কেন আমাদের উপর পুলিশের এত রাগ তা আমরা বুঝতে পারছি না। আমাদের একটাই অপরাধ আমরা লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলাম। "
যদিও জেলা পুলিশের কোনও শীর্ষ কর্তা পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।
