রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ০৩ মে ২০২৪ ১৬ : ৩০Riya Patra
আজকাল ওয়েবডেস্ক: এখনও বাকি ৫ দফা ভোট। গত একমাসের বেশি সময় ধরে প্রার্থীদের হয়ে জোর কদমে প্রচার, সভা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নার নির্বাচনী প্রচার থেকে বৃহস্পতিবারের ঘটনার জন্য সুর চড়ালেন মমতা। বৃহস্পতিবার থেকে একটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে উঠেছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বললেন, সন্দেশখালি বলার আগে, বলা হোক কেন কাজের মেয়েকে রাজ্যপাল যৌন নিপীড়ন করেছেন? বৃহস্পতিবার জানা যায়, রাজভবনে কর্মরত এক মহিলা কর্মী হেয়ার স্ট্রিট থানায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিন মমতা বলেন, একটা ছোট্ট মেয়ে, চাকরি করত রাজভবনে, তার সঙ্গে কী ব্যবহার করেছেন রাজ্যপাল। এর আগেও "হাজারটা" ঘটনা এলেও তিনি কিছু বলেননি এতদিন। কিন্তু গতকালের মেয়েটির কান্না তাঁকে বিচলিত করেছে বলে উল্লেখ করেন এদিন। মমতা বলেন, "রাজ্যপাল তাঁর ঘরে কাজ করে বলে মেদিনীপুর পূর্বের একটি মেয়েকে একবার নয়, পরপর দু"বার মলেস্টেশন করেছেন। আমি তার কান্না দেখলাম। আমার কাছে ভিডিও এসেছে। আমি মন দিয়ে দেখেছি।" এই ঘটনার উত্থাপন করেই প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে মমতা বলেন, "সেখানেই তো কাল থেকে এলেন, কই একটা কথা বললেন না?" উল্লেখ্য, গতকাল রাজভবনে মোদি আসেন। সফরসূচি ছিল পূর্বনির্ধারিত। বৃহস্পতিবার রাজভবনে রাত্রিবাস করে মোদির শুক্রবার বঙ্গে তিনটি নির্বাচনী সভা করার পরিকল্পনা ছিল। সেই মতো তিনি বৃহস্পতিবার রাতে আসেন রাজভবনে। তার ঘন্টাখানেক আগেই তোলপাড় শুরু হয় শ্লীলতাহানির ঘটনায়। মোদির উদ্দেশ মমতা এদিন বলেন, "আপনার লোকজনেরা তখন ছিল, যখন মেয়েটা কেঁদে বেরোচ্ছিল, ভয় পাচ্ছে কখন যখন তখন ডেকে খারাপ ব্যবহার, অসম্মান করবে। আপনি মা-বোনেদের নিয়ে কথা বলেন?"
তৃতীয় দফা ভোটের আগে শুক্রবার বঙ্গে নির্বাচনী সভা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। শুক্রবার চাকরি বাতিলকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাঁরা যোগ্য হয়েও আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন তাঁদের আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি। দুর্নীতি ইস্যুতেও তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরেই নিজের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা দেন মমতা। তিনি বলেন, "নির্বাচনে ভোট দরকার, তাই ৮ দিন পর। আমরা ইতিমধ্যে আদালতে মামলা লড়ছি। শিক্ষা দপ্তর, রাজ্য সরকার আইনজীবী দিয়েছে। আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি খেতে দেব না। জীবন দিয়ে লড়াই করব। আমি প্রথম দিন থেকেই আপনাদের বলেছি।" ২৬ হাজার চাকরি বিজেপি "খেয়েছে" বলেও এদিন অভিযোগ করেন মমতা। বলেন, "আপনার দল পার্টি ছিল, সিপিএমকে টাকা দিয়ে দাঁড় করিয়েছে আপনার দল। সিপিএম-বিজেপি একসাথে দাঁড়িয়ে শিক্ষকদের চাকরি খেয়েছে।"