শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Sumit | ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৮ : ১২Sumit Chakraborty
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো এবং "গো ব্যাক" স্লোগান দেওয়ার বিরোধিতা করলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে বহরমপুর শহর এবং নওদাতে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হন অধীর। কংগ্রেস প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দেওয়া ছাড়াও,তাঁকে ঘিরে তৃণমূল কর্মীরা "গো ব্যাক" স্লোগান দেন। এরপরই অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা ব্যানার্জির নির্দেশেই তাঁকে ঘিরে "গো ব্যাক" স্লোগান দিচ্ছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।
হুমায়ুন কবীর বুধবার বলেন ,"অধীর চৌধুরীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো বা "গো ব্যাক" স্লোগান দেওয়ার ঘটনা আমি কখনই সমর্থন করি না। আমার নিজের বিধানসভা এলাকা ভরতপুরে আমি কোনওদিন এই ঘটনা ঘটতে দেব না।"
তিনি বলেন," অধীর চৌধুরীর একটি রাজনৈতিক দলের প্রতীকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।তাই তাঁরও অধিকার রয়েছে নির্বাচনী প্রচার চালানোর। কিছু লোক শুধুমাত্র খবরে আসার জন্য এবং টিভিতে মুখ দেখানোর জন্য অধীর চৌধুরীকে এই ধরনের বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আমাদের দলের তরফ থেকে অধীর চৌধুরীকে বিক্ষোভ দেখানো বা "গো ব্যাক" স্লোগান দেওয়ার কোনও "অ্যাজেন্ডা" দেওয়া হয়নি। "
হুমায়ুন বলেন," আমাদের দলের প্রার্থী ইউসুফ পাঠান এমনিতেই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতবে । কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে থাকার জন্য লড়াই হচ্ছে । আমি আমার দলের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য রাজনৈতিক লড়াই করছি । কিন্তু তার মানে এই নয় আমাকে অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীকে অসম্মান করতে হবে ।"
যদিও অধীর চৌধুরীকে বহরমপুরে কোথাও "গো ব্যাক" স্লোগান দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জি। তিনি বলেন," অধীর চৌধুরী বহরমপুরে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছেন । আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন। তৃণমূল কর্মীদেরকে মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আমরা তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছি এবং পুলিশে এফআইআর করেছি ।"
হুমায়ুনের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন," এর আগে নওদার এক মহিলা বিধায়িকা আমাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর প্রতিবাদ করেছিলেন। আজ ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক একই ঘটনার প্রতিবাদ করলেন। তৃণমূল দলে এখনও এমন কিছু লোক রয়েছেন যাঁরা রাজনৈতিক সংস্কৃত বিশ্বাস করেন। তৃণমূলের দুই বিধায়ক নিশ্চয়ই মনে করছেন সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি সকলের মেনে চলা উচিত । তাই তাঁরা এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। আমি এর প্রশংসা করছি।