শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৮ : ০২
ঝুলিতে ‘লাভযাত্রী’, ‘অন্তিম’। তৃতীয় ছবি ‘রাসলীন’ মুক্তি পাবে ২৬ এপ্রিল। শেষমুহূর্তে তারই প্রচারে কলকাতায় আয়ুশ শর্মা, সুশ্রী মিশ্র। ধূসর বুকখোলা শার্ট, কালো ট্রাউজার, চোখে গাঢ় রঙের রোদচশমা। চুল পরিপাটি উল্টে আঁচড়ানো। গরমেও তিনি ঝলমলে। পাশে আপাদমস্তক সাদা পোশাকে শ্বেতপরি নবাগতা সুশ্রী। শহরের প্রথম সারির পাঁচতারা হোটেলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি তাঁরা। সেখানেই আজকাল ডট ইনকে আয়ুশ জানিয়েছেন, সলমন খান আত্মীয় না হলেও তিনি অভিনয়েই আসতেন। তখন তাঁর নামের পাশে ‘স্ট্রাগলার’ শব্দটা বসত। আফসোস, কলকাতার অনেক কিছু তাঁর মনপসন্দ। প্রত্যেকবার শহরে আসার সঙ্গে ক্যামেরা নিয়ে আসেন। ছবি তুলবেন বলে। প্রতি বার এত ব্যস্ততা থাকে যে সেই শখ আর পূরণ হয় না।
কথা ছিল ‘রাসলান’-এর পরিচালক করণ ললিত বুটানিও আসবেন। অনিবার্যকারণবশতঃ তিনি অনুপস্থিত। ছবির প্রযোজক কে.কে রাধামোহন। সবার উদগ্রীব অপেক্ষা তখন শুধুই আয়ুশকে ঘিরে। এদিকে প্রচার সচিবের আগাম অনুরোধ, মুম্বই পুলিশের নির্দেশ, সলমন খানকে নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। কিন্তু সেই বারণ কে শোনে? শুরুতেই এক সাংবাদিকের প্রশ্ন, গুলিবৃষ্টির পরে ‘ভাইজান’ কেমন আছেন? ভগ্নিপতি অনায়াস, ভাল আছেন। সবার আশীর্বাদ, শুভেচ্ছা তাঁর উপরে। তাই ‘ভাইজান’-এর কিছু হতেই পারে না। তারপরেই অনর্গল আগামী ছবি নিয়ে। আয়ুশ জানান, এক ছবিতে রোমান্স, অ্যাকশন, ইমোশন, ফ্যামিলি ড্রামা সব আছে। রাসলীন ব্যক্তিগতভাবে সঙ্গীতপ্রেমী। কিন্তু পরিস্থিতি তাকে একে৪৭ রাইফেল ধরিয়েছে। এই প্রসঙ্গে আজকাল ডট ইনের প্রশ্ন, তাঁর ছবির ধারা আর সলমনের ছবির ধারার অনেক মিল। ভাইজানের ছবি মানেও এন্টারটেনমেন্ট, এন্টারটেনমেন্ট অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট। আয়ুশ কি ছবি বাছার ক্ষেত্রে কোনও ভাবে শ্যালক দ্বারা প্রভাবিত? অভিনেতার উত্তর, একা সলমন নন, বলিউডের প্রায় সব নায়কই এই ধারায় বিশ্বাসী। অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান। প্রত্যেকের ছবিতে এই উপাদানগুলো বর্তমান। না হলে দর্শক প্রেক্ষাগৃহে আসবেন না। ছবি হিট হবে না। ফলে এখানে প্রভাবের কোনও প্রশ্ন নেই।
তবে যেহেতু ভাইজান পরমাত্মীয়, তাই তিনি আয়ুশের কাজকর্ম সম্বন্ধে অবশ্যই খোঁজ নেন। শরীরচর্চা পরামর্শ দেন। অভিনয়ের টিপস দেন। ভালমন্দও বুঝিয়ে দেন। গ্রুমিংয়ে সহযোগিতা করেন। তিনি ভাগ্যবান, বৈবাহিক সূত্রে তিনি মুম্বইয়ের খানদানের সঙ্গে যুক্ত। সলমন তাঁর আত্মীয় না হলেও কি অভিনয়ে আসতেন আয়ুশ? তখন তাঁর অভিনয় জীবন এখনকার থেকে কতটা আলাদা হত? প্রশ্ন শুনে একটু কি থমকে গিয়েছিলেন তিনি! তারপর বিনয়ের সঙ্গে তাঁর জবাব, ‘‘সলমন খান আমার পরমাত্মীয় না হলেও অভিনেতাই হতাম। আমার পরিবারও অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। তখন আমার নামের পাশে ‘স্ট্রাগলার’ শব্দটা জুড়ত। এখন হয়তো যেটা তাঁকে ততটাও বুঝতে হচ্ছে না।’’ নায়কের আরও দাবি, ভাগ্যকে কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে! তাঁর ভাগ্যে ছিল বলেই তিনি সলমন খানের পরমাত্মীয়। তবে তিনি ভগ্নিপতির ছায়া, এমনটাও নয়। এই ছবির সৌজন্যেেই তিনি বলিউডের বাইরে কাজ করলেন। দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়াকে চিনলেন। সেখারকার কাজের ধারা শিখলেন। এই প্রসঙ্গে নবাগতদের উদ্দেশ্যে জানান, কেউ যদি ঘাম আর কান্নার পার্থক্য ইন্ডাস্ট্রিকে বোঝাতে পারে তা হলেই সে টিকে গেল।
ছবিতে তাঁর বিপরীতে নবাগতা সুশ্রী। নায়ক কতটা তাঁকে নাকাল করেছেন? প্রশ্ন রাখতেই হেসে ফেলেছেন নায়িকা। জানিয়েছেন, নাকাল করার থেকেও হাতে ধরে শিখিয়েছেন অনেক কিছু। কীভাবে চরিত্রে ঢুকতে হয়। কীভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে হয়। কীভাবেই বা নিজের অনুভূতি ক্যামেরার সামনে তুলে ধরতে হয়। আয়ুশ ছবিপ্রসঙ্গে জানান, তিন বছর লেগে গেল একটা নিখুঁত ছবি উপহার দেওয়া হবে বলে। তিন বছর ধরে তাঁরা এক পরিবার হয়ে ছিলেন। যা ছবির ট্রেলারে প্রকাশিত। আর তাই সলমন এই প্রথম ভগ্নিপতির কোনও ছবির ট্রেলার দেখে সামাজিক পাতায় প্রশংসা উজাড় করে দিয়েছেন। সংবাদিক বৈঠক শেষ। ব্যাঙ্কোয়েট থেকে বেরোনোর আগে কলকাতাকে বলে গেলেন, ‘‘বেশ কয়েক বার শহরে ঘুরে গিয়েছি। পথঘাট দেখেছি। কিন্তু গভীরে যাওয়া হয়নি। আগামী বার হাতে অনেকটা সময় নিয়ে আসব। কল্লোলিনীকে আবিষ্কারের সমস্ত বিশেষ মুহূর্ত লেন্সবন্দি করব।’’