শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Sumit | ২২ মার্চ ২০২৪ ১৯ : ৪৪Sumit Chakraborty
বীরেন ভট্টাচার্য, দিল্লি: দেশের কর্পোরেট সংস্থাগুলির থেকে বিজেপির তহবিলে জমা হয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা। সামনে এসেছে নির্বাচনী ট্রাষ্টের মাধ্যমে দেওয়া টাকার অঙ্কও। করোনার টিকা তৈরি করা সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে শুরু করে একাধিক সংস্থা রয়েছে, যারা মোটা অঙ্কের রাজনৈতিক অনুদান দিয়েছে নির্বাচনী ট্রাষ্টের মাধ্যমে। প্রথম ১০টি সংস্থার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আর্সেলর মিত্তল নিপন স্টিল। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই সংস্থার দেওয়া রাজনৈতিক অনুদানের অঙ্ক ১০০ কোটি টাকা। ট্রাষ্ট এবং কর্পোরেট সংস্থা মিলিয়ে রাজনৈতিক দলকে দেওয়া অনুদানের হিসেব জমা হয় নির্বাচন কমিশনে। বার্ষিক রিপোর্ট হিসেবে সেই তথ্য সামনে আসে। জানা গিয়েছে, ২০১৩-১৪ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত সময়ে এই পথে অনুদানের অঙ্ক ২,২৬৮.৬০ কোটি টাকা। এই টাকার ৭২ শতাংশই গিয়েছে বিজেপির তহবিলে।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম জানিয়েছে, প্রুডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাষ্টের মাধ্যমে আর্সেলার মিত্তল ডিজাইন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন বন্ড সংক্রান্ত যে তথ্য প্রকাশ করেছে, সেখানে নাম নেই আর্সেলারের। যদিও সংস্থার সিইও এবং এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান লক্ষ্মী নিবাস মিত্তল বন্ডের মাধ্যমে দিয়েছেন ৩৫ কোটি টাকা। তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন বন্ডের মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া হয়েছে। বন্ডের তালিকায় নাম নেই সিরাম ইনস্টিটিউটেরও। তবে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সাইরাস পুনেওয়ালা ব্যক্তিগতভাবে এনসিপিকে টাকা দিয়েছেন। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে অনুদানের পরিমাণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে সিরাম ইনস্টিটিউট। এই অর্থবর্ষে টিকা তৈরি করা সংস্থাটি দিয়েছে ৫০.২৫ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রুডেন্ট ট্রাষ্টের মাধ্যমে সিরাম দিয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সবচেয়ে অঙ্কের রাজনৈতিক অনুদান দিয়েছে আর্সেলার মিত্তল স্টিল এবং আর্সেলার মিত্তল ডিজাইন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার প্রাইভেট লিমিটেড, যার অঙ্ক ৭০ এবং ৬০ কোটি টাকা।
বন্ডে নাম না থাকা জিএমআর হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দর ট্রাষ্টের মাধ্যমে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দিয়েছে ২০ কোটি টাকা। এডিআর জানিয়েছে, ট্রাষ্টের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া প্রথম ৮টি সংস্থা বন্ডের মাধ্যমেও অনুদান দিয়েছে। শুধুমাত্র দুটি সংস্থা লক্ষ্মী মেশিন ওয়ার্ক লিমিটেড এবং অবিনাশ ভোসলে গোষ্ঠী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দেয়নি। প্রথম ১০টি সংস্থার মধ্যে ইন্ডিয়াবুলস ইনফ্রাএস্টেট লিমিটেড, দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিমিটেড, এমআইজি বান্দ্রা রিয়েটরস অ্যান্ড বিল্ডার্স এবং আবিল ইনফ্রা প্রোজেক্ট প্রাইভেট লিমিটেড বন্ড কেনেনি।