আজকাল ওয়েবডেস্ক: চুঁচুড়া জগুদাস পাড়া এলাকার এবিএস টাওয়ার আবাসনে তল্লাশি চলে রাত পর্যন্ত।
ওই আবাসনে ফ্ল্যাট রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার শান্তনু ব্যানার্জি এবং ওই ফ্ল্যাটের প্রোমোটার অয়ন শীলের। সেই দুই ফ্ল্যাটে দফায় দফায় তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। এদিন সকালেই আবাসন সংলগ্ন প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়িতে যায় ইডি-র একটি দল। সেখানে অয়নের বাবা এবং মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে বিকেলের মধ্যেই তাঁরা কলকাতা ফিরে যান। আবাসনে তল্লাশির শুরুতে শান্তনুর ফ্ল্যাটে ঢুকতে গিয়ে সমস্যায় পরেন আধিকারিকেরা। দরজায় ছিল ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং নম্বর দেওয়া অত্যাধুনিক লক। কোনও রকমে সেই দরজা ভেঙে শান্তনুর ফ্ল্যাটে ঢোকে ইডি। ফ্ল্যাটে ঢোকার পর আবার সেই দরজা বন্ধ করার জন্য কাঠমিস্ত্রিকে নিয়ে আসা হয়। ওই কাঠমিস্ত্রিকে দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজার বাইরের দিকে একটি ছিটকানি লাগানোর ব্যবস্থা করে। ফ্ল্যাটের ভেতরে থাকা আলমারির লকার, ওয়াড্রোভ ইত্যাদি লক থাকায় পুনরায় তল্লাশি চালাতে অসুবিধের মুখে পরেন ইডি আধিকারিকেরা। চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় এলাকা থেকে এক মিস্ত্রিকে তুলে আনা হয় আবাসনে। রাত ৯ টা নাগাদ মিস্ত্রিকে ফ্ল্যাট থেকে বেরোতে দেখা যায়। বেরিয়ে তিনি জানান, ফ্ল্যাটের ভেতরে প্রায় ৮ থেকে ৯ টা তালা খুলেছেন। সেখান থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার হয়েছে। রাত পৌনে দশটা নাগাদ তল্লাশি অভিযান শেষ হয়। অবশেষে প্রোমোটার অয়ন শীলকে আটক করে গাড়িতে বসিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন ইডি-র আধিকারিকরা।