আজকালের প্রতিবেদন, দিল্লি: ভারতের হাইপ্রোফাইল ১০ হাজার ব্যক্তি সম্পর্কে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করছে চীনের একটি সংস্থা। তালিকায় রয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, গান্ধী পরিবার, সাংসদ, ক্রিকেটার, প্রধান বিচারপতি, সাংসদরা। যে চীনা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার বিরুদ্ধে এই নজরদারি চালানোর অভিযোগ, সেই সংস্থাটি চীনের শি জিনপিং সরকার, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, চীনের সেনা–সহ সে দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করে থাকে।
‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ–পশ্চিম চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনঝেন শহরের ‘শেনহুয়া ডেটা ইনফরমেশন টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা এই কাজ করছে। বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারামন, স্মৃতি ইরানি, পীযূষ গোয়েলের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তালিকায় আছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডে ও ৩৫০ জন সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে মমতা ছাড়াও আছেন ওড়িশার নবীন পট্টনায়ক, রাজস্থানের অশোক গেহলট, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে, পাঞ্জাবের অমরেন্দ্র সিং প্রমুখ। আছেন রতন টাটা, গৌতম আদানির মতো শিল্পপতি এবং বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের সম্পাদকরা, প্রাক্তন ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকর, নৃত্যশিল্পী সোনাল মান সিং–সহ দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি জগতের লোকজন থেকে শুরু করে এমনকী ধর্মগুরুরাও। বাদ যায়নি কুখ্যাত অপরাধী এবং জঙ্গিদের তথ্যও।
বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের তরফেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি এই বিষয়টি উত্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আলোচনা হয়নি। দিল্লিতে চীনা রাষ্ট্রদূত দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘পিছনের দরজা দিয়ে বা স্থানীয় আইন ভেঙে অন্য দেশের কোনও তথ্য সংগ্রহ করে না চীন।’ সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু ভারত নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো বহু দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যও সংগ্রহ করে শেনহুয়া।
আগামীকাল চীন বিষয়ে সংসদে বিবৃতি দিতে পারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
Aajkaal © 2017