আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবার গোটা দিন আকাশের মুখ ছিল ভার।
তবে ভারী বৃষ্টির দেখা মেলেনি দিনের বেলায়। বুধবার রাতে বদলে গেল পরিস্থিতি। রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি। যার ফলে জলমগ্ন শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। জল জমেছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, পার্ক সার্কাস, বেহালা, সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের বেশ কিছু অংশে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বুধবার রাত ১০ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত একটানা ভারী বৃষ্টি চলেছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মোমিনপুরে। ১৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সেখানে। তারপরেই রয়েছে কালীঘাট। সেখানে ১৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে ১৬৩ মিলিমিটার, বালিগঞ্জে ১৪৮ মিলিমিটার, উল্টোডাঙায় ৮৪ মিলিমিটার, বেলগাছিয়ায় ৮২ মিলিমিটার, মাণিকতলায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ। বেহালা, পার্ক সার্কাস, কলেজ স্ট্রিট জল থইথই। কোথাও হাঁটুজল, আবার কোথাও গোড়ালি ভেজা জলে ডুবেছে রাস্তা। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, জোয়ারের জন্য লকগেট বন্ধ। তাই জল নামতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে।
এদিকে, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এখনই বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা নেই। উল্টে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গে চলবে বৃষ্টি। আগামী ২–৩ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা–সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়ায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, রাতভর বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রার পারদও নেমেছে বেশ খানিকটা। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। শুক্রবারও ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জেলায় জেলায়।
Sudipta Sen: ‘টাকা নিয়েছেন’, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এবার ‘ব্ল্যাকমেলের’ অভিযোগ আনলেন সুদীপ্ত সেন
Roddur Roy: কী কাণ্ড! কলকাতার পুজোয় এবার মহিষাসুরের জায়গায় রোদ্দুর রায়, মূর্তি গড়ার প্রস্তুতিও শুরু!
Patient Stuck in Carnish: হাসপাতালের কার্নিশ থেকে হাত ফসকে পড়ে গেলেন মানসিক রোগী! চাঞ্চল্য মল্লিকবাজারে
ছোট্ট গ্যারাজে পথচলা শুরু টেকনো ইন্ডিয়ার, ২৫ বছরে স্বপ্নের স্বপ্নপূরণ নেতাজি সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের