আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুরভোটের আগে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যের।
বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ব্যক্তিগত স্বার্থে কিছু মানুষ ভোটে অশান্তি করেন। লোকাল বডি ইলেকশনে বেশি ঝামেলা হয়। পুলিশকে ‘ফ্রি-হ্যান্ড’ দিতে হবে। বিধানসভার দ্বিগুণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হোক। আরও একটা ‘২০১৮’ হলে আরও একটা ‘২০১৯’ সময়ের অপেক্ষা। বারবার সবটা ‘২০২১’-এর মতো হবে না।’
স্বাভাবিকভাবেই এই মন্তব্য যে ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সেখানে ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে। মনোনয়নও জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়। এক-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। এরপর ২০১৯-এ উল্টো ফল হয়। লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ২২টি আসন পায় শাসক দল। শক্তি বাড়িয়ে ১৮টি আসনে জয়ী হয় গেরুয়া শিবির। সেই থেকেই রাজ্য দখলে জোরকদমে প্রচার শুরু করে বিজেপি। তবে একুশের ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। কিন্তু তা যে বারবার হবে না তারও দাবি করেন দেবাংশু।
সেই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘যারা অশান্তি করেন ভবিষ্যতে তারা অনায়াসে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সেটিং করে নিতে পারবেন। তখন মার খেতে হবে কর্মীদের, মরতে হবে সাধারণ সদস্যদের। কিছু স্বার্থান্বেষী বদমায়েশের জন্য দলের মুখে কালি লাগাতে দেবেন না। একজন অতি সাধারণ কর্মী হিসেবে অনুরোধ রইল।’ তবে এখানে কাদের স্বার্থান্বেষী বলতে চেয়েছেন তিনি তা স্পষ্ট নয়। তবে পুরভোট যাতে নির্বিঘ্নে ঘটে তার আবেদন করেছেন তিনি তা স্পষ্ট। দেবাংশুর এই পোস্ট নিয়ে দলের বাইরে তো বটেই দলের অন্দরেও জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।