গৌতম চক্রবর্তী: জমি কমিটির সব লাফালাফি শেষ। কমিটির সব হিসেব উল্টে ভাঙড়ের বিদ্যুৎ সাবস্টেশন সংলগ্ন পোলেরহাট–২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড তৃণমূলই গঠন করল। আর পঞ্চায়েতে সুবিধে করতে না পেরে এলাকায় অশান্তির হুমকি দিল ভাঙড়ের জমি কমিটি। এই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে বহুদিন ধরে অনেক টানাপোড়েন চলছিল। অবশেষে বুধবার টানটান উত্তেজনার মধ্যে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শেষ হল। পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন সবিতা সর্দার এবং উপপ্রধান হন আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলাম। দুজনেই ভাঙড়ের উত্তর গাজিপুরের বাসিন্দা।
এদিন পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পর তৃণমূল কর্মীরা প্রধান ও উপপ্রধানকে নিয়ে বিজয় আনন্দে মেতে ওঠেন।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সবুজ আবির ও বাজনার তালে নাচতে থাকেন তৃণমূলকর্মীরা। এদিন জমি কমিটি তাদের পঞ্চায়েতের ৫ সদস্যকে নিয়ে বোর্ড গঠনের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাঁদের ভাগ্যে পদের শিকে ছেঁড়েনি। তাই তৃণমূল বোর্ড গঠনের পরেই তৃণমূল সদস্যদের পঞ্চায়েতে ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় কমিটি। আগামী দিনে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেয় কমিটি। সদ্য নির্বাচিত পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান হাকিমুল বলেন, ‘সংখ্যাগুরু হিসেবেই বোর্ড গঠন করেছি। এবার এলাকায় উন্নয়নের কাজ করব। জমি কমিটি যতই প্ররোচনা দিক না কেন, কোনও অশান্তির ফাঁদে পা দেব না।’
এদিন ঘড়ি ধরে ঠিক ১১টার সময় পুলিশি নিরাপত্তায় পঞ্চায়েত ভবনে ঢোকেন হাকিমুল–সহ ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য। অন্যদিকে, গ্রাম থেকে পুলিশি নিরাপত্তায় পঞ্চায়েতে আসেন জমি কমিটির ৫ জন সদস্য। ভোটাভুটিতে তফসিলি জাতি সংরক্ষিত আসনে প্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের সবিতা সর্দার আর উপপ্রধান হন হাকিমুল ইসলাম। শূন্য হাতেই ফিরতে হয় জমি কমিটিকে।
জয়ী তৃণমূল প্রধান সবিতা সর্দার ও উপপ্রধান হাকিমুল ইসলাম। ছবি: প্রতিবেদক
Aajkaal © 2017