আজকাল ওয়েবডেস্ক: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যু নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড আমতায়।
তদন্তের দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। ঘেরাও করা হয়েছে আমতা থানা। পুলিশের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
হাওড়া গ্রামীণের ডিজিকে তলব করা হয়েছে ভবানী ভবনে। সূত্রের খবর, ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক ঘটনার তদন্ত করবেন বলে। পুলিশ সুপারের থেকে ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছন ডিজি। জানানো হয়েছে, সত্বর রিপোর্ট দেওয়া হোক। তবে আনিসের বাবা সালেম খান দাবি করেছেন সিবিআই তদন্তের। এ দিন আনিসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র, কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে পুলিশকে চিঠি লিখেছিলেন আনিস। জানিয়েছিলেন, তাঁর এবং তাঁর পরিবারের জীবন বিপন্ন। আঙুল তোলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দিকে। পুলিশের থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। নিরাপত্তার দাবি তুলেছিলেন। অভিযোগ, পুলিশ কোনও সাহায্যই করেনি। তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক সুকান্ত পাল জানিয়েছেন, আনিসের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল। আনিস খুবই ভালো ছেলে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দাবি করেছেন, ঘটনার তদন্ত হোক। দোষীরা শাস্তি পাক।
Anis Khan Murder: মৃত আনিসের বাড়ি গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পুলিশ, CBI তদন্তের দাবি বাবার
আনিসের পরিবার এসব শুনতে চাইছে না। তাদের অভিযোগ, আনিসের আশঙ্কাই আসলে আশঙ্কাই সত্যি হল। জানা গিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশের পোশাকে শুক্রবার রাতে আনিসের বাড়িতে ঢোকে ৪ জন। উপরের তলায় আনিসের ঘরে উঠে যায় তিন জন। অভিযোগ, আনিসের মাথায় আঘাত করে তাঁকে ছাদ থেকে নীচে ফেলে দেওয়া হয়। এদিকে, পুলিশের দাবি থানা থেকে কেউ যায়নি আনিসের বাড়িতে।
প্রশ্ন উঠছে ওই চার জন কে? মাটিতে এর পর বহুক্ষণ পড়েছিল আনিসের রক্তাক্ত দেহ। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর আনিসের বাড়ি যায় তারা। ততক্ষণে ফরেনসিক প্রমাণ লোপাট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘটনাস্থল কেন ঘিরে রাখা হয়নি, সেই অভিযোগও করেছেন স্থানীয়রা। এদিন পুলিশ আনিসের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। তাদের ফিরে আসতে হয়। পুলিশকে গাফিলতির কথা স্বীকার করতে হবে বলেও দাবি তোলেন স্থানীয়রা।