আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘দিয়োগো মরেনি। দিয়েগো মরেনি। আমাদের ভিতরেই বেঁচে আছেন।’
আর্জেন্টাইনদের বুকে যেন রক্ত ঝরছে আজ। গতকাল মারাদোনার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বুয়েনস আইরেসের ঐতিহাসিক বেদীর সামনে জড়ো হয়েছেন কাতারে কাতারে মানুষ। ’৮৬–র বিশ্বকাপ জয়ের পরও এই ‘ওবেলিস্কো’র সামনে জড়ো হয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন আর্জেন্টাইনরা। আজ তাঁদের হৃদয় ভেঙেছে। মারাদোনা তাঁদের ঘরের লোক। একজন বলছেন, ‘’৯৫ সালে বোকা–র হয়ে মারাদোনাকে খেলতে দেখেছি। অবসর নিয়ে রিভারের স্টেডিয়াম যেদিন ছেড়েছিলেন তিনি, সেদিনও তাঁকে সামনে থেকে দেখেছিলাম। শুনেছিলাম, সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। দিয়োগো যাকে-তাকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন। ভেবেছিলাম, এবারও তাই হবে। দিয়েগো আমাদের মধ্যেই বেঁচে থাকবেন।’
আর্জেন্টিনার রিভার ক্লাবের বছর চল্লিশের এক সমর্থক বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর প্রায় দু’ঘন্টা ধরে ঘরে কেঁদেছি। কী করব বুঝতে না পেরে এখানে চলে এসেছি। আজ এখানে বহু ক্লাবের সমর্থকরা এসেছেন। প্রত্যেকেই কেঁদে ফেলছেন। আপনি বিশ্বের যেখানেই যান না কেন, সবাই বলবে, মারাদোনা মানেই আর্জেন্টিনা। মারাদোনাই আর্জেন্টিনা।’
‘’৮৬–র বিশ্বকাপের সময়ে আমার বয়স ছিল ২০। যেসব মুহূর্ত উপহার দিয়েছিলেন মারাদোনা, তা কোনওদিন ভুলতে পারব না। ’৮২–র ফকল্যান্ড যুদ্ধের পর আর্জেন্টিনার হতাশা দূর করেছিলেন। দিয়েগোই আমাদের পরিচয়।’ সংবাদমাধ্যম গোল–কে জানাচ্ছেন পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তি।
মারাদোনা না মেসি? তর্কাতীতভাবে আজও আর্জেন্টাইনরা মারাদোনাকেই বেছে নেন। মারাদোনার মধ্যেই তাঁরা নিজেদের প্রতিচ্ছবি দেখেন। একজন বলছেন, ‘দিয়েগো অনেক কাছের। মেসি নন। রাস্তায় ফুটবল খেলে উঠে এসেছেন মারাদোনা। মেসির সঙ্গে তুলনা করা যায় না। কিন্তু এখন আমাদের একমাত্র ভরসা তিনিই। মারাদোনাকে যেভাবে আগলে রাখা উচিত ছিল, তা করা হয়নি। মেসির ক্ষেত্রে এটা হলে চলবে না। মেসিকেই জেতাতে হবে। মারাদোনার জন্য। আর্জেন্টাইনদের জন্য। কারণ মারাদোনাই আর্জেন্টিনা।’
❤️ Hinchas realizan homenaje a Maradona a las afueras de La Bombonera 🏟 pic.twitter.com/RbyVzrJMBL
— Goal en español (@Goal_en_espanol) November 25, 2020