অনম্বর আদিত্য চৌধুরি (প্যারিস): পুজো এল, পুজো চলেও গেল। সেই মন খারাপ, ছেলেবেলার মতো, ঘিরে রইল এই প্রবাসে। আসলে প্যারিসের এই দুর্গাপুজো নিজেদের বাড়ির পুজো ভাবি আমরা সবাই। প্রবাসী মানুষগুলো এই ক’ দিন যেন একান্নবর্তী পরিবার। রাগ, আনন্দ, খুনসুঁটি, অভিমান সব নিয়ে বাঁচে।
করোনার চোখরাঙানিতে গত বছরটা পুজোর খুশি বলে কিছু ছিল না। এবছর তাই খুব উৎসাহ বাচ্চা থেকে বুড়ো সবার মধ্যে। ষষ্ঠীর দিনেই জমাটি আড্ডা। সপ্তমীতে অতিথি হয়ে এলেন প্যারিসের রামকৃষ্ণ মিশনের নতুন স্বামীজি, চণ্ডীপাঠ করলেন, পুজো নিয়ে অনেক তথ্য জানা গেল ওঁর ভাষণ থেকে।
সম্মিলনীর পুজোর একটা বড় আকর্ষণ অষ্টমীর নাটক। এর নেপথ্যের নাটকও কম নয়। নাটকের আগে মুখবন্ধটা করবে কে? সেটা তো ঠিক হয়নি আগের দিনও। খুব গম্ভীর একটা গলা দরকার। যথারীতি রুবিদি মুশকিল আসানের ভূমিকায়। খুঁজে বার করলেন অরুণব্রতদাকে। এবার আরেক সমস্যা, লেখাটা তৈরি করার সময় তো পাইনি।
শেষমেষ আত্রেয়া মজুমদারকে মুখে বলে গেলাম, ও লিখল। কিন্তু এত চমৎকার পড়লেন দাদা, যে বোঝাই গেল না। ভাগ্যিস রোহন পাখি পড়ার মতো কানের কাছে বলছিল, নামটা কিন্তু অনুব্রত না, অরুণব্রত।
'বুল্টির বিয়ে' নাটক দেখার পর কিন্তু আর কেউ কুশীলবদের নিজের নামে ডাকছে না। সব চরিত্রের নাম। বুল্টির আসল নাম উপাসিকা, প্যারিসে সংস্কৃত নিয়ে পিএইচডি করছে। ও বেচারিকে দর্শক বলছে, বুল্টিকে কেউ শান্তির জল দে রে।
নবমীতে ছিল মজার শ্রুতিনাটক 'ওয়ার্ক ফ্রম ব্যোম'। আত্রেয়া ফিজিক্স-এর গবেষক, তবে অসাধারণ গল্প বলার ক্ষমতা। আর সবার ঠাকুমা শিপ্রা ঘোষ তো আছেনই।
সবাইকে হয়তো মঞ্চে দেখা যায় না। আড়ালে চুপচাপ কাজ করে যান। বীথি মাসি আর ঝুমু মাসিকে ছাড়া আমরা অচল।
দশমীর দিন কিন্তু গ্রুপ ফটো মাস্ট। জীবনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে কে কোথায় ছিটকে যাই কে জানে! আবার একটা বছর পর পুজোর ক’টা দিন এক সঙ্গে কাটানোর সুযোগ আসবে। তারই অপেক্ষা।
Saraswati Puja: কোথাও থিম, কোথাও সাবেকিয়ানা, আল্পনা আর আলোয় সেজে উঠেছে ক্যাম্পাস
Kolkata: অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও নাগরিক মঞ্চের মিছিল, পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ ধর্মতলা চত্ত্বর
Republic Day: ২৬ এর প্রস্তুতি, জানুন আজ রাত থেকেই বন্ধ শহরের কোন কোন রাস্তা
Kolkata: রেড রোড থেকে সোজা নিজের কলেজে মুখ্যমন্ত্রী, শুনলেন পড়ুয়াদের গান