বিভাস ভট্টাচার্য:
তদন্ত সংস্থার কাছে স্নিফার ডগের গুরুত্ব অপরিসীম।
মিষ্টিও এক সন্ধানী কুকুর। কিন্তু জব প্রোফাইল একটু আলাদা। নিরাপত্তা বাহিনীর হয়ে তার কাজ বিস্ফোরক বা খুনির সন্ধান করা নয়। কাজটা হল রেলপথে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচার রোধে আরপিএফকে সহায়তা করা। 'মিষ্টি' নামে এই জার্মান শেফার্ডটি ইতিমধ্যেই লিলুয়া আরপিএফের ডগ স্কোয়াডে নাম লিখিয়ে পাচার রোধে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
হাওড়ায় কর্মরত আরপিএফের এক কর্তা বলেন, শুধুমাত্র বন্যপ্রাণীদের দেহাংশ পাচার রোধে এই ধরনের কুকুর পূর্ব রেলে আগে কখনও আনা হয়নি। মিষ্টিই হল প্রথম এ ধরনের কুকুর। ভোপালে স্টেট আর্মড পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে মিষ্টিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বয়স দেড় বছর।
হাতির দাঁত থেকে বাঘের চামড়া। মোটা টাকার লোভে পাচারকারীদের হাতে মৃত্যু ঘটে বন্যপ্রাণীদের। এদেশ থেকে পাচার হয়ে বাইরে চলে যায় হাতির দাঁত কিংবা গন্ডারের খড়্গ। চোরাশিকারিদের হাত থেকে রেহাই পায় না বাঘও। পাচারকারীরা পাচারের জন্য কখনও বেছে নেয় সড়কপথ আবার কখনও রেলপথ। নির্দিষ্ট খবর বা রুটিন চেকিংয়ে পাচারকারীরা মাঝেমধ্যে ধরা পড়লেও পুরোপুরিভাবে পাচার বন্ধ করা যায়নি। কখনও দেশের মধ্যে আবার কখনও বিদেশে, পাচারকারীদের হাত ঘুরে বন্যপ্রাণীদের এইসব দেহাংশ পৌঁছে যাচ্ছে কোটিপতিদের হাতে।
আরপিএফের ওই কর্তা বলেন, ইদানীং তাঁরা খবর পাচ্ছিলেন, পাচারকারীরা রেলপথকেও পরিবহণের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছে। এটা আটকাতেই মিষ্টিকে নিয়ে আসা হয়। তবে মিষ্টি আসার পরে এখনও পর্যন্ত কোনও পাচারের খবর পাওয়া যায়নি। আরপিএফের দাবি, প্রশিক্ষণের পর মিষ্টি একশ শতাংশ তৈরি। যখনই ডাক পড়বে কেল্লা ফতে করে দেবে সে। মিশুকে এবং ঠান্ডা স্বভাবের জন্য মিষ্টি ইতিমধ্যেই আরপিএফে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে এই মুহূর্তে কুকুর আছে ১২টি। হাওড়ায় আছে ৬, বর্ধমানে ৩ এবং লিলুয়ায় আছে ৩টি কুকুর। নিয়মমাফিক প্রতিদিন ডিউটি করলেও অনুশীলনে কিন্তু কখনও ফাঁকি দেয় না মিষ্টি। সকালে এক ঘণ্টা এবং বিকেলে এক ঘণ্টা, প্রতিদিন দু'ঘণ্টা করে অনুশীলন তার চাই-ই চাই।
Paresh Adhikari: দীর্ঘক্ষণ জেরার পরেও নিস্তার নেই, শনিবার ফের নিজাম প্যালেসে তলব করা হল পরেশ অধিকারীকে
Book: ফুটপাতে জনগণের জন্য ফ্রিজ বসিয়েছেন, এবার তৌসিফের লক্ষ্য বাস স্টপে বুক শেলফ
KMC: শহরের বহুতলে স্পট মিউটেশন শুরু করবে কলকাতা পুরসভা
Nirmal Majhi: রোগী কল্যাণ সমিতিতে নির্মল মাজির জায়গায় এলেন সুদীপ্ত রায়