আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরে হারিয়ে যাওয়া জাহাজ গত সপ্তাহে ভেসে উঠল ভারত মহাসাগরে। ২০০৯ সালে তাইওয়ান উপকূলের কাছে শেষবার দেখা গিয়েছিল স্যাম রাতুলাঙ্গি পিবি১৬০০ নামে ওই ইন্দোনেশিয়ার জাহাজটিকে। তাইওয়ান থেকে রওনা দেওয়ার কিছু দিন পরই জাহাজের সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কন্ট্রোল রুমের। তারপর এতদিন জাহাজের আর কোনও খবর ছিল না। নাবিক বা ক্যাপ্টেনের কী হয়েছে তা নিয়েও সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিল ইন্দোনেশিয়া প্রশাসন এবং জাহাজ কোম্পানিটিও।
অবশেষে গত ৩০ আগস্ট ভারত মহাসাগরে মায়ানমারের গ্রাম থামা সিয়েট্টার কাছে ওই ভুতুড়ে জাহাজটিকে দেখতে পান মৎস্যজীবীরা। উৎসুক মৎস্যজীবীরাই প্রথমে জাহাজে উঠেছিলেন। কিন্তু সেখানে কোনও নাবিক বা পণ্য খুঁজে পাননি তাঁরা। ঘটনাটি মৎস্যজীবীরা মায়ানমার নৌসেনাকে জানালে তারাও সারা জাহাজ ঘুরে দেখে। কিন্তু ওই জাহাজটি কোথাকার, বা কোথা থেকে সেটি এসেছে সেধরনের কোনও তথ্যই খুঁজে পায়নি নৌসেনা। তবে প্রাথমিকভাবে নৌসেনার অনুমান, ওই ভুতুড়ে জাহাজটিই ২০০৯ সালে হারিয়ে যাওয়া জাহাজ স্যাম রাতুলাঙ্গি পিবি১৬০০। সাংসদ ইউ নে উইন ইয়াঙ্গন বলেছেন, জাহাজটি তাঁদের জলসীমায় কীভাবে এল সেব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। মায়ানমার সমুদ্রযাত্রীদের ইন্ডিপেনডেন্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইউ আং কাও লিন বলেছেন, জাহাজটি এখনও চালু অবস্থায় আছে। তার ইঞ্জিন, যন্ত্রপাতি সব কাজ করছে। কিন্তু পুরো জাহাজটিই খালি। কেন সেটি পরিত্যক্ত সেটাই প্রশ্নের বিষয়।
১৭৭.৩৫ লম্বা ২৭.৯১ মিটার চওড়া জাহাজটিতে রয়েছে ২৬,৫১০ টন ওজনের কন্টেনার। সেটি তৈরি হয়েছিল ২০০১ সালে। মায়ানমারের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ভুতুড়ে জাহাজের রহস্য সমাধানের দাবি করে বলেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ কারখানায় ওই জাহাজাটি ভেঙে ফেলার কথা হয়েছিল। কিন্তু কারখানায় নিয়ে যাওয়ার আগেই কোনওভাবে সেটি ভেসে মায়ানমারের দিকে চলে যায়। যদিও প্রশান্ত মহাসাগরের তাইওয়ান উপকূল থেকে ২০০৯ সালে রওনা দেওয়া জাহাজ কীভাবে চট্টগ্রামে এল তা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি ওই রিপোর্টগুলিতে।