আজকাল ওয়েবডেস্ক: অদ্ভূত বললেও কম বলা হয়। তাঁদের মেয়ে পণপ্রথার বলি হয়েছেন বলে জামাই এবং তার মা, বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন গৃহবধূর মা। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারও করা হয়। সেই খবর জানতে পেরেই সটান থানায় হাজির হয়ে নিজের বেঁচে থাকার প্রমাণ দিলেন ওই বধূ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরে।
বুলন্দশহরের এসএসপি সন্তোষ কুমার সিং জানালেন, ইসলামাবাদ এলাকার বাসিন্দা আমির গত ২৩ জুলাই থানায় অভিযোগ রুজু করেন এই মর্মে যে, তাঁর স্ত্রী বরিষা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। এরপর গত ২৭ জুলাই গাজিয়াবাদের সাহিবাবাদে সুটকেসে এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই দেহটিকে বরিষার মা এবং বড়দা বরিষা বলে শনাক্ত করেন। তারপরই তাঁরা আমির এবং তাঁর মা, বাবার বিরুদ্ধে পণের জন্য বরিষাকে খুনের অভিযোগে এফআইআর রুজু করেন। সেই তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
কিন্তু সোমবার বুলন্দশহরের এসএসপি আলিগড় থেকে খবর পান যে, বরিষা আলিগড়ের গান্ধী পার্ক থানায় গিয়ে মহিলা কনস্টেবলকে নিজের পরিচয় দিয়েছেন। তবে সেখানে বরিষা এই অভিযোগও করেন যে, পণের জন্যই আমির, তাঁর শ্বশুর এবং শাশুড়ি তাঁকে মারধর করেছিল গত ২২ জুলাই। প্রাণ বাঁচাতে তিনি নয়ডা পালিয়ে গিয়েছিলেন কোনও পরিচিতের কাছে। সেখানেই এতদিন ছিলেন তিনি। বরিষার বেঁচে থাকার খবর মেলায় আমির এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পণের জন্য খুনের অভিযোগ উঠে গেলেও পণের জন্য অত্যাচারের তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন এসএসপি সন্তোষ কুমার সিং।